ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

আন্দোলন করুন, কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে রোগী ভোগান্তি বাড়াবেন না ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

আন্দোলন করুন, কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে রোগী ভোগান্তি বাড়াবেন না ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কর্মবিরতির নামে রোগীদের ভোগান্তি না বাড়ানোর জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আন্দোলন করুন ঠিক আছে, কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলবেন না। কর্মবিরতিতে শুধু রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ে, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। রবিবার বিকেলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে যাওয়া চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনাদের ফোরাম আছে, টেলিভিশনে টকশো করেন, আমরা তো আপনাদের সঙ্গেই আছি। কিন্তু আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেবেন না। আন্দোলন শেখাবেন না। আমরা আন্দোলন করা দল, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তিনি বলেন, দাবি আদায়ে যে কেউ আন্দোলন করতে পারে। আন্দোলন করবেন, দাবি জানাবেন ঠিক আছে। কিন্তু কর্মবিরতি করবেন কেন? ধর্মঘট করে লাভ কী? এখন মিডিয়ার যুগ। দাবি তুললে তা সঙ্গে সঙ্গে প্রচার হয়ে যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না চাইতেই আপনাদের অনেক কিছুই দিয়েছেন। শেখ হাসিনা দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করতে পারেন বলেই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বেতন কাঠামো নিয়ে চিকিৎসকদের কোন সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমেই শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে। তাই অযথা রাস্তায় নেমে রোগীদের কষ্ট দেবেন না। কর্মবিরতিতে জনভোগান্তি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দাবি করে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, সরকারী হাসপাতালে সেবা নিতে আসে স্বল্প আয়ের মানুষেরা। এসব গরিব মানুষ এসে যদি আপনাদের কর্মবিরতি দেখে তাহলে তাদের কী অবস্থা হবে একটু ভেবে দেখবেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করবে। কেবিনেটেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সামনে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয়। সবকিছু জেনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মোহাম্মদ নাসিম। রবিবার বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রথমে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিটি স্ক্যান, এমআরআই, এক্স-রে রুমসহ সাধারণ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবরও নেন। পরে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নূরুল হক, স্বাচিপের মহাসচিব ডাঃ এমএ আজিজ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এমএ হামিদ প্রমুখ। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এ্যান্ড ইউরোলজির বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। হিমাডায়ালাইসি ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শন ॥ উল্লিখিত হাসপাতাল দুটি পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আকস্মিতভাবে শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। মন্ত্রী প্রথমে হাসপাতালের বহির্বিভাগ, অর্থোপেডিক সার্জারি এ্যান্ড ওরাল এ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন।
×