ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজাহান মিয়া

ভূমিকম্প মোকাবেলায় এখনই প্রস্তুতি দরকার

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

ভূমিকম্প মোকাবেলায় এখনই প্রস্তুতি দরকার

আবারও কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। স্নিগ্ধ শান্ত শীতের ভোরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে জেগে ওঠে। প্রচ- কম্পনে ঘুম ভেঙ্গে যায় সবার। ঐ মুহূর্তে যারা জেগে ছিল তাদের বিন্দুমাত্র বুঝতে সময় লাগেনি ভূমিকম্পের ভয়ঙ্কর কাঁপনটিকে। এ দুর্যোগটি বলে-কয়ে আসে না। গত ৪ জানুয়ারি সোমবার ভোর ৫টা ৭ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচি ও হুড়াহুড়ি করে বাসাবাড়ি থেকে বের হতে গিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ জনের মৃত্যু ঘটে। বাড়িঘর ও বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের ছাত্রাবাস থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে, ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে শতাধিক মানুষ আহত হয়। আবহাওয়া অধিদফতর ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ২৯ কিলেমিটার পশ্চিমে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন। ভূ-ভাগ থেকে ৫৭ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি। ঢাকা থেকে যার দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭। ভূমিকম্পে মণিপুরে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহত হয়েছে ১২ জন। বিশেষজ্ঞদের মতে ভূমিকম্পটি মণিপুরের চুরাচানপুর ফল্ট থেকে উৎপত্তি হয়েছে। যা ভারত এবং বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলের কাছাকাছি এবং সিলেটের ডাইকি ফল্টের পাশেই অবস্থিত। এটি মণিপুর থেকে চট্টগ্রাম মিয়ানমার বর্ডার হয়ে দক্ষিণের মিয়ানমার পর্যন্ত ছয় শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূমিকম্পে এ ফল্ট থেকে সামান্য শক্তি ক্ষয় হয়েছে এখনও এ ফল্ট থেকে ভূমিকম্পের প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে এবং সে ঝুঁকি রয়ে গেছে ঢাকা ও সিলেটের ওপর। টেকটনিক প্লেট কাঠামো বাংলাদেশের অবস্থানগত কারণসহ বিভিন্ন কারণে অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ভারত প্লেটের অংশ এবং উত্তর-পূর্বে তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এ কারণে ভূমিকম্প নিয়ে বেশি শঙ্কা রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব প্লেটের গতি নির্ণয় করে দেখা গেছে ভারত প্লেট ইউরেশিয়া বার্মা প্লেট বাউন্ডারিতে আটকে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের ভেতরের ভূত্বকে প্রচুর পরিমাণ শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন প্লেটের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ার কারণেই বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরজুড়ে ভারত প্লেটের অবস্থান। এই প্লেটের উত্তরে রয়েছে ইউরেশিয়া প্লেট। গত বছর ২৫ এপ্রিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ল-ভ- হয়ে যায়। প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পটির তা-বে হিমালয়দুহিতা নেপাল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। ঘরবাড়ি, দালানকোঠা ধসে পড়ে পর্যটকদের কাছে প্রিয় সার্কভুক্ত দেশটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছিল। প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। আহত হয়েছিল সাত হাজারেরও বেশি মানুষ। ধ্বংস হয়ে যায় রাজধানী কাঠমা-ুর অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক স্থাপনা ধারাহারা টাওয়ারসহ বহু প্রাচীন মন্দির ও স্থাপনা। একাশি বছর পূর্বে ১৯৩৪ সালে রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রার বিহার-নেপাল ভূমিকম্পের পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। গত বছর নেপালের ভূমিকম্পটির পর কমপক্ষে ৪০ বার আফটার শক হয়েছিল। তবে গত ৪ জানুয়ারি সোমবারের ভূমিকম্পটির মতো এমন আতঙ্ক দেখা দেয়নি তখন। দেশে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জনগণের মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে এই ভূমিকম্পটি। এর আগে কখনও ভূমিকম্পে জনগণকে এত আতঙ্কিত হয়ে পড়তে দেখা যায়নি। রাজধানী ঢাকার মানুষ ভয়ে রাস্তায় নেমে আসে। নেপাল ছাড়াও দেশটিতে আঘাত হানা গত বছরের ভূমিকম্পটিতে বাংলাদেশ, ভারতের উত্তরাঞ্চল, চীন এবং পাকিস্তানও কেঁপে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গসহ প্রায় গোটা ভারত কেঁপে ওঠে। ভারতে মারা যায় ৪২ জন। ভূমিকম্পটির তীব্রতা এতটাই ছিল যে, উৎপত্তিস্থল থেকে বাংলাদেশ ৭৪৫ কিলোমিটার দূরে হয়েও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ দফায় দফায় কেঁপে ওঠে। বাংলাদেশেও ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ভূমিকম্পের কম্পনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আতঙ্কিত হলেও সময় পেরিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সব ভুলে যাই। প্রচ-ভাবে কম্পিত হলেও আমরা তেমন শঙ্কিত হই বলে মনে হয় না। ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা মোকাবেলায় কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও আমরা দৃঢ়ভাবে ভাবি না। ভূমিকম্প এমনই এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা বলে-কয়ে আসে না। ঝড়-তুফান-বন্যা ঠেকাতে না পারলে এগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। পূর্বাভাস পাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে ভূমিকম্পের সংহার থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় থাকে না। একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানলে রাজধানী ঢাকাসহ আক্রান্ত অঞ্চলে কি প্রলয়ঙ্করী ঘটনা ঘটতে পারে সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য সবারই জানা আছে। তারপরও এক শ্রেণীর ব্যবসায়িক মানসিকতার লোক শহর-নগর-বন্দরে এলোপাতাড়ি ও অপরিকল্পিতভাবে বিশাল বিশাল দালানকোঠা এবং অট্টালিকা নির্মাণ করছে। কিছু হাউজিং কোম্পানি নালা-ডোবা-খাল ভরাট করে নরম মাটিতে দৃষ্টিনন্দন আকাশচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণ করছে কেবল বাণিজ্যিক কারণে। সুউচ্চ ও সুন্দর বিল্ডিং নগরীর শোভাবর্ধন করলেও মাটির নিচে চাপ সৃষ্টি করে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চরম উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে। আর সেজন্যই দেশে দালানকোঠা নির্মাণে কেউ নিয়মনীতির তেমন একটা তোয়াক্কা করছে না। পূর্বের ডিআইটি এবং এখনকার রাজউকের বিধি-বিধান বা বিল্ডিংকোড মেনে ঢাকা শহরে খুব কম বাড়িই নির্মিত হয়। একদিকে আইন অমান্য করা আর অন্যদিকে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে মারাত্মক কারচুপি। সব ভেজালের এই দেশের ভেজাল সম্রাটদের হাতের জাদুকরি পরশে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট-বালি-সিমেন্ট ও রডের মতো সামগ্রী কতটা খাঁটি তা সবারই জানা। বেশিরভাগ দালানকোঠায়ই ভূমিকম্প প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেই। তবে নির্মিত বিল্ডিংয়েও ভূমিকম্প প্রতিরোধী ব্যবস্থা সংযোজন করা যায়। বিষয়টির প্রতি কর্তৃপক্ষের জরুরীভিত্তিতে নজর দেয়া প্রয়োজন। বিগত কয়েক শ’ বছরে আমাদের দেশসহ এই অঞ্চল ও তার আশপাশ এলাকায় বেশকিছু ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১৫৪৮, ১৬৪২ ও ১৬৬৩ সালে সিলেটে; ১৭৬২, ১৭৭৫ ও ১৮৮২ সালে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে এবং ১৮৮০ সালে পাবনায়। ১৮৬৯ সালের ৬ জানুয়ারির ভূমিকম্পে সিলেটের সার্কিট হাউস, কোর্ট ও চার্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৮৮৫ সালের ১৪ জুলাই রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটিকে ‘দ্য বেঙ্গল আর্থকোয়েক’ বলা হয়ে থাকে। তবে ১৮৯৭ সালের ১২ জুনের ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ছিল এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী। দালানকোঠা বিধ্বস্ত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়। বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, কুমিল্লা, ঢাকা, দিনাজপুর, রংপুর ও ময়মনসিংহে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১৭৮২ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে গঙ্গা নদীর গতিপথও পরিবর্তন হয়। প্রলয়ঙ্করী কোন ভূমিকম্প আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতার দিক থেকে ঢাকা মহানগরীকে সমগ্র বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কয়েক বছর আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বিশ্বের ভূমিকম্পপ্রবণ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরান রয়েছে প্রথম স্থানে। ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বহুতল ভবন নির্মিত হওয়ায় রাজধানী ঢাকাকেই এখন ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ঢাকা শহরে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানলে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে এই নগরী এক বিশাল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো ঢাকা শহর এলাকায় ৩ লাখ ২৬ হাজার ভবনের ওপর এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে যে, ৭ থেকে সাড়ে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৭২ হাজার ভবন সম্পূর্ণভাবে এবং আরও ৮৫ হাজার ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়বে। তবে ধারণা করা হয় ৭ মাত্রা নয়, সাড়ে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পেই রাজধানী ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যেতে পারে। পুরনো ঢাকার অবস্থা কিরূপ হতে পারে তা কল্পনা করাও কঠিন। উপরন্তু, যে শহরে নির্মাণ ত্রুটির কারণে বিল্ডিং ধসে পড়ে সেখানে বেশি কিছু বলা বাহুল্য বই আর কিছু নয়। সর্বনাশা দুর্যোগটি রোধ করার কোন উপায়ই যখন মানুষের হাতে নেই, তখন ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণই জরুরী। ভূমিকম্পের কথা আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে রাখতে হবে, বর্তমানে বাংলাদেশ নামক ভূখ-টি বিগত পাঁচ শ’ বছরে প্রায় এক ডজনবার ভয়ঙ্করভাবে এই দুর্যোগটির দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই এলাকার অধিবাসীরা এর বীভৎসতা, ভয়াবহতা ও ধ্বংসলীলার ব্যাপকতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে। অবশ্য, মাঝে-মধ্যে ছোটখাটো কম্পন যে কত হাজারবার হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঢাকায় সর্বশেষ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল ১১৩ বছর আগে ১৮৯৭ সালে। হাজার মানুষের মৃত্যু ছাড়াও তৎকালীন ঢাকার বহু ঘরবাড়ি ও দালানকোঠার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। শোনা যায়, ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য ও দখলদার ব্রিটিশরা আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকদিন খোলা আকাশের নিচে কাটায়। শতাধিক আকাশচুম্বী বিশাল অট্টালিকাসহ হাজার হাজার বহুতল ভবনের বর্তমান ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে তখনকার ঢাকার কোন তুলনাই চলে না। তখন নিশ্চয়ই পুরনো ঢাকা শহরে সর্বসাকুল্যে হাজারখানেক পাকা বাড়িও ছিল না। রাজধানী ঢাকায় কোন প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প হলে গ্যাস-বিদ্যুত বিস্ফোরণে আগুন লেগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও অন্যান্য বিপদ মিলে যে কি ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, তা আল্লাহ গাফুরুর রাহিম শুধু আমাদের কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ রাখুন, বাস্তবে তা যেন কখনই না ঘটে। তারপরও সরকারকে জনগণের মধ্যে এ দুর্যোগের ভয়াবহতা ও ভূমিকম্পের সময় তাদের করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকম্পের সময় নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষার্থে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই মনে করছেন যে, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ঢাকা শহরে অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও জরুরীভিত্তিতে সংগ্রহ করা দরকার। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানোর কোন উপায় নেই। এরকম সর্বনাশা দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার পর উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য আমাদের অভিজ্ঞ জনবল এবং প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রাদিরও তীব্র সঙ্কট রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই উদ্যোগকে আরও কার্যকর করে তা বাস্তবায়নে যুদ্ধাবস্থার মতো জরুরীভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, যাতে ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা যায়। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট
×