ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ার্কার্স পার্টি

৫ জানুয়ারির নির্বাচন যারা মানে না, তারা সংবিধান বিরোধী

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

৫ জানুয়ারির নির্বাচন যারা মানে না, তারা সংবিধান বিরোধী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যারা পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনকে মেনে নিতে পারে না তারা পক্ষান্তরে দেশের গণতন্ত্র সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করছে বলে মনে করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে একথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামাত এর নেতৃত্বে তথাকথিত ২০ দলীয় জোট হত্যা খুন নাশকতা সন্ত্রাস ও মানুষ পোড়ানোর মতন সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিল। যা বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতি থেকে এখনও মুছে যায়নি। শুধু তাই নয় ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে নিয়ে যারা সহিংসতা করেছে তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। দেশের অগ্রযাত্রা, উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গীবাদকে পরাস্থ করার জন্য এই নির্বাচন প্রয়োজন ছিল। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যারা সেই দিন নির্বাচনে অংশ নিলেন না আমরা লক্ষ্য করলাম তারা আবার সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে অংশ নিলেন। যা থেকে প্রমাণ করে ২০ দলীয় জোটের সেই দিনের সেই সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব আর নির্বাচনে অংশ না নেয়া এক কথা নয়। যারা ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা গণতন্ত্র, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ জানুয়ারি ২০১৪ নির্বাচনকে নিয়ে বিতর্কের আর কোন অবকাশ নেই। বিএনপি-জামায়াত এর নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও জঙ্গীবাদী তৎপরতা প্রতিহত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। গণতান্ত্রিক বিকল্প রাজনীতির উত্থান ঘটাতে হবে-সিপিবি ॥ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, সংকীর্ণ ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির জন্য বুর্জোয়া দলগুলো দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত। তাদের আদর্শহীন রুগ্ন রাজনীতির কারণে খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। সার্বিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে দ্বি-দলীয় মেরুকরণের বাইরে আদর্শভিত্তিক বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প রাজনীতির উত্থান ঘটাতে হবে। মঙ্গলবার দলের মাসব্যাপী প্রচার কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, দুলাল সাহা প্রমুখ। সেলিম আরও বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সঙ্কুচিত করার পথেই সরকার চলছে। দেশকে কার্যত একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে কার্যকর ও শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে পারলে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। দেশে ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হলে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও জনগণের পক্ষের ধারাকে শক্তিশালী করতে হবে।
×