ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণ, নিহত এক আহত ৪

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১১ নভেম্বর ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণ, নিহত এক আহত ৪

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ কারেন্ট জাল কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক সজিব ব্যাপারী (২৮) নিহত এবং আরও অন্তত চার জন আহত হয়েছে। বিধস্ত বয়লারটি প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ছিটকে পড়েছে। এতে পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বিস্ফোরণে প্রধান বিদ্যুত লাইন এবং বৈদ্যুতিক পুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সদর উপজেলার মুক্তারপুরের বাগবাড়ির সাউদান ফিশিং নেট কারখানায় সোমবার রাত ১টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। আহত দেলোয়ার, আমান, ইউসুফ, মরিয়মকে হাসাপতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত সজিব কারখানটির অপারেটর। সে বাগবাড়ির শহীদ বেপারীর ছেলে। দুর্ঘটনার পর গোপনে জানাজা না দিয়ে রাতেই সজীবের লাশ দাফন করা হয়। এই ঘটনায় শহিদের বাবা এখন বাকরুদ্ধ। পুলিশ জানায়, কারখানাটির মালিক গোলাম মোস্তফা। সে এখন পলাতক রয়েছে। এদিকে রাত ১টা থেকে শহর ও আশপাশ, টঙ্গীবাড়ির আলদি সাবস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ আছে। মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম শেখ মনোয়ার মোর্শেদ জানান, তারা সকালে মেরামত কাজ শুরু করেছেন। তবে কখন বিদ্যুত কারখানার তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি জানান, পাঁচ টন ওজনের বয়লারের টুকরো ৩৩ কেভি বিদ্যুত লাইনে ও পুলে আঘাত করে। ইঁদুরের উপদ্রব ॥ ফাঁদ কেনার হিড়িক নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা), ১০ নবেম্বর ॥ বরগুনার আমতলী ও তালতলীর কৃষক ইঁদুরের হাত থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষায় ফাঁদ পেতে ইঁদুর নিধন করছে। বাজার থেকে তারা ইঁদুর মারার ফাঁদ ক্রয় করছে। বাজারে এ ফাঁদ কেনার হিড়িক পড়েছে। মঙ্গলবার সকালে আমতলী শহর থেকে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের দড়িকাটা গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন ও আবু হানিফা ১২টি ইঁদুর নিধনের খাঁচা ( ফাঁদ) ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা জানান, প্রতি বছর ক্ষেতে ধান পাকা শুরু হলেই ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যায়। ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রক্ষায় ক্ষেতে খাঁচা (ফাঁদ) পেতে দমনের চেষ্টা করছি। ৫ একর জমিতে ৩০টি ফাঁদ পাতার ব্যবস্থা করেছি। তারা আরও জানান, অনেক কৃষক ইঁদুরের ফসল কাটার ভয়ে আগাম জাতের উফসি ধান দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তালতলীর লেমুয়া গ্রামের ইসহাস হাওলাদার জানান, দুই একর জমিতে ইরি চাষ করেছি।
×