ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ইলিশের জালে ধরা পড়ছে হাঙ্গর

কুয়াকাটায় হাঙ্গর শিকারের ধুম প্রকাশ্যে বেচাকেনা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কুয়াকাটায় হাঙ্গর শিকারের ধুম প্রকাশ্যে বেচাকেনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি ॥ কুয়াকাটার শুঁটকি পল্লীতে হাঙ্গর বেচাকেনার হাট বসেছে। সন্ধ্যার পর ও সকালে চলে বেচাকেনা। জেলেদের শিকার করা শতকরা ৮০ ভাগ হাঙ্গরের পোনা। খুব ছোট সাইজের। চারটির ওজন মাত্র এক কেজি। গত সাত দিন ধরে এ অবস্থা চলছে। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের হাঙ্গর প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলছে। স্থানীয়ভাবে হাঙ্গরের চাহিদা নেই। তার উপরে চলছে হরতাল-অবরোধ। ফলে বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। কুয়াকাটাসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রচুর ছোট-বড় হাঙ্গর এভাবে ধরা পড়ছে। এসব হাঙ্গর শুঁটকি করা হয়। কোন ধরনের প্রশাসনিক বাধা না থাকায় অবাধে চলছে পোনাসহ সকল প্রকার হাঙ্গর শিকার। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, লট হিসেবে বিক্রি হচ্ছে শিকার করা হাঙ্গর। একেক ট্রলার যে পরিমাণ হাঙ্গর শিকার করেছে, তা সন্ধ্যায় এনে নিলামের মতো ডাক দেয়া হয়। শুঁটকি ব্যবসায়ী ইউনুছ আলী জানান, তিনি ১৪টি ছোট-বড় হাঙ্গর ৫৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলে জানান, প্রায় দুই মণ কাঁচা পোনা হাঙ্গর তিনি কিনেছেন মাত্র এক হাজার টাকায়। গণনায় চার-পাঁচ শ’ হবে, যা শুঁটকি করলে আধামন হতে পারে। জেলে সোলায়মান মিয়া জানান, সাগরে অন্য কোন মাছ এখন আর পাওয়া যায় না। শুধু হাঙ্গর ধরা পড়ছে। ইলিশের জালে এ সব হাঙ্গর ধরা পড়ছে। শুঁটকির মৌসুমে লাভ করতে পারেনি জেলেরা । তাই এখন হাঙ্গর ধরা পড়ায় তারা কিছুটা খুশি। তবে জাটকা হাঙ্গর প্রচুর পরিমাণ ধরা পড়ায় সচেতন মানুষ উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করেছেন। কোন নিয়ন্ত্রণ কিংবা বাধা না থাকায় জেলেরা প্রকাশ্যে ছোট-বড় হাঙ্গর শিকার করছে। করা হচ্ছে শুঁটকি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, হাঙ্গর শিকার বন্ধে কোন আইন না থাকায় পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না। মির্জাপুরে নিউএইজ শিল্পপার্কে শ্রমিক অসন্তোষ, ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি ॥ গোড়াই শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত নিউএইজ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ড্রাইং কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে। মালিকপক্ষের শর্ত মোতাবেক ওভার টাইম না দেয়ায় এ অসন্তোষ বিরাজ করে বলে জানা গেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে কারখানাটিতে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। জানা গেছে, নিউএইজ কারখানাটিতে ৪ শতাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। শ্রমিক নিয়োগের সময় মালিকপক্ষ মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ১৪০ ঘণ্টা ওভারটাইম দেয়ার কথা বলে শ্রমিক নিয়োগ দেয়। শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত এ শর্ত মোতাবেক কাজ করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে মালিকপক্ষ ওভারটাইম না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার প্রধান গেটের অফিস কক্ষের গ্লাস ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে- এ শর্তে শ্রমিকরা শান্ত হয়। পরে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফখরুদ্দীন কারখানায় এসে শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করলে শ্রমিকরা কাজে ফিরে যান। এ ব্যাপারে নিউএইজ কারখানার ম্যানেজার (এ্যাডমিন) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বায়ারদের চাপ থাকায় অতিরিক্ত ওভারটাইম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ। তবে শ্রমিকদের স্বার্থের বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×