ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মাওয়ায় পদ্মা সেতুর কাজ সম্প্রসারিত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২৬ নভেম্বর ২০১৪

মাওয়ায় পদ্মা সেতুর কাজ সম্প্রসারিত হচ্ছে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ¦ল, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুর কাজ ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। তীরে ও নদীতে মাটি পরীক্ষা, ড্রেজিং, নদী শাসন, ওয়ার্কস তৈরিসহ সবই চলছে এখন একযোগে। এই চিত্র শুধু মাওয়া, জাজিরা প্রান্তে কিংবা পদ্মা নদীতেই নয়। চলছে চীন, জার্মান ও সিঙ্গাপুরে। তিনটি দেশে তৈরি করা বিভিন্ন স্থাপনা শিপে করে নবেম্বরের মধ্যেই বিশাল চালান মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর কাজের পরিধি এখন এতটাই বেশি যে, প্রতিটি বিষয় পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিনই কাজের পরিধি সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীসহ জনবলও বাড়ছেই। তবে মূল সেতুর জায়গায় মাওয়া ফেরিঘাট থাকায় কাজে সমস্যা হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে ঘাট সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে নেয়া না হলে ঠিকাদারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে। তিনি বলেন, পদ্মার মাঝে থাকা দেড় কিলোমিটার চর কাটা এখন জরুরী। কিন্তু সেখানে কিছু বসতি থাকায় তা কাটা শুরু করা যাচ্ছে না। তবে এগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দু’পাশে ড্রেজার অবস্থান করছে স্থাপনা সরিয়ে নিলেই কাজ শুরু হবে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার মাঝের এই চরটি সর্বশেষ জরিপেও প্রবহমান নদী দেখানো হয়েছে। তাই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হায়াত-উদ-দৌল্লাহ জানান, এই চরের মাদারীপুরের সীমানায় কারপাশা ও করালী দুটি মৌজায় ৪৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই জমির প্রায় সবই খাস। অবৈধভাবে বা অস্থায়ী লিজ নিয়ে কিছু বসতি হয়েছে। মোট ৬৬ পিলারের জন্য ৬৬ পয়েন্টে মাটি পরীক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে। মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ডিজাইন করার সময় ১৩টি পয়েন্টে মাটি পরীক্ষা হয়েছে। তাই মূল সেতুর বাকি ২৯ পয়েন্টে এখন মাটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে বা হবে। তবে এই দফায় শুরু কোন পয়েন্টের কাজই এখনও শেষ হয়নি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও যথাযথ পরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সিডিউলের চেয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সেতুটির প্রাক্কলন ব্যায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এই ব্যয়ের মূল সেতুর ৪০টি পিলারে ৬টি করে ২৪০ এবং দু’পারের দু’টিতে ১২টি করে ২৪টি অর্থ্যাৎ ২৬৪টি পাইল করতে হবে। এদিকে চীনের নানটোংয়ের স্টীল কাটার ফেব্রিকেশন ওয়ার্কশপে ৯০ মিটার করে ১০টি পাইল নির্মিত হচ্ছে। এগুলো টেস্টিং পাইল হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। পাইলগুলো সঠিক ধারণক্ষমতা নিতে পারে কি-না এগুলো পিলারস্থলে পাইলিং করে বসিয়ে পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চাহিদামতো আরও পাইল নির্মাণ করা হবে। শীঘ্রই এসব পাইল দেশে নিয়ে আসা হবে।
×