
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-মুখপাত্র সাব্বির আল রাজ-এর উপর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বর্বর ও পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।২৯ জুন রবিবার রাত ৮টার দিকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা রয়েল হাসপাতালের সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-মুখপাত্র সাব্বির আল রাজ নারায়ণগঞ্জের তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিগত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতো সাব্বির আল রাজ। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতো। সেই থেকে সাব্বির আল রাজ ছাত্রলীগের টার্গেটে পরিণত হয়। পূর্বপরিকল্পনা মাফিক আজ রবিবার ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ প্রধান মোল্লার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাব্বিরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করে ফেলে রাখা হয়।
আহত সাব্বির আল রাজ বলেন,“আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিলাম, এ কারণে তারা আগে থেকেই আমাকে শাসিয়ে আসছিল। আজ আমাকে মারার পর তারা বলেছে—এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমার ক্লাস টু-তে পড়া ছোট ভাইকে মেরে ফেলবে। এমনকি আমার পরিবারকেও হুমকি দিয়েছে।”
এই হুমকি শুধু একজন শিক্ষার্থীর কণ্ঠ রোধ নয় এটা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার ও পরিবারের নিরাপত্তার উপর সরাসরি সন্ত্রাস।
জানা গেছে, হামলার নেতৃত্বদানকারী জুনায়েদ প্রধান মোল্লা সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সোনারগাঁও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সাগরের আপন ভাতিজা। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে—এই হামলার পেছনে শুধু ব্যক্তিগত রাগ নয়, রয়েছে সংগঠিত ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া।
সোনারগাঁ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “আমরা কারও রক্ত বিনা বিচারে মাটিতে মিশতে দেবো না। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সাব্বিরের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অন্যথায় আমরা রাজপথে নামবো।”এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোনারগাঁও থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আফরোজা