ঋণ নয়, জলবায়ু ক্ষতিপূরণ চাই: তালতলীতে বাইসাইকেল র‍্যালিতে উঠল দাবির ঝড়

ঋণ নয়, জলবায়ু ক্ষতিপূরণ—এই দাবিকে সামনে রেখে বরগুনার তালতলীতে এক ব্যতিক্রমী বাইসাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন’ উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালিটি তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ ও তালতলী সাইকেলিং ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ র‍্যালিতে অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীরা “ঋণ বাতিল করো, জলবায়ু তহবিল নিশ্চিত করো”—এমন নানা রঙের প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে।

র‍্যালির উদ্বোধন করেন তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দীন, তালতলী চারুকলা একাডেমির পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর, পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিক হাইরাজ মাঝী, মো. মোস্তাফিজ, উন্নয়নকর্মী এম. মিলন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত কয়লার ধোঁয়া ও বর্জ্য পায়রা নদীতে গিয়ে পড়ায় নদীতে ইলিশ কমে গেছে। টেংরাগিরি অভয়ারণ্যের জীববৈচিত্র্য, স্থানীয় কৃষি ও জনস্বাস্থ্যের ওপরও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।”

তারা আরও বলেন, “আমরা ঋণ চাই না, জলবায়ু ক্ষতিপূরণ চাই। গ্লোবাল সাউথের জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় গ্লোবাল নর্থকে দায়িত্ব নিতে হবে। সকল পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে জনস্বার্থ, অধিকার এবং মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”

র‍্যালিটি জলবায়ু ন্যায্যতা, বৈশ্বিক দায়বদ্ধতা ও স্থানীয় জনসচেতনতায় একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।