ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

বাউফলে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ২১:০৮, ২৬ জুন ২০২৫

বাউফলে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবিঃ সংগৃহীত

উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় বাউফলের উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টা থেকে বিরতিহীনভাবে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা ক্লাস বর্জন করে দফায় দফায় মাদ্রাসার বারান্দায় শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সুপারের নানা অনিয়মের বিচার দাবি করেন।

মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত জানায়, “মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট না হলেও ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদ নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসে তার ছেলে ইমরান হোসেনকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে থাকেন। উপবৃত্তির জন্য খরচ করতে হবে বলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ করে টাকা আদায় করেন। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরকারি উপবৃত্তির চলতি কিস্তির টাকা পেলেও তাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কোনো টাকা পায়নি।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৯ম শ্রেণির রাবেয়া বেগম, ১০ম শ্রেণির নুসরাত, রুপা, ৭ম শ্রেণির আব্দুল্লাহসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যুৎ বিল, পরীক্ষার ফি, স্কাউট ফি সহ বিভিন্ন অযুহাতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব থাকায় তাদের কথা কেউ শুনছেন না। নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা না করায় গত বছর দাখিলে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। কোনো বিষয় বলতে গেলে সুপারের ছেলে ইমরানের ভয়ে চুপ থাকতে হয়। ভয়ভীতি দেখায় সে। শিক্ষামূলক কোনো ধরনের কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় না।

তারা আরও জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার ও তার ছেলে অন্য মতাবলম্বী হওয়ায় সম্প্রতি আলোচিত উপজেলা ব্যাপী জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের দেওয়া কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা সভাতেও তাদেরকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিচার দাবি করে অন্যত্র ভর্তির জন্য তাদের টিসি চায়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সহসুপার মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষক মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের মর্জিমাফিক তার ছেলেকে দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তারা অনেকেই অসহায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না। সুপার নজির আহম্মেদ প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পূর্ণ অযোগ্য। তিনি এবার ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে উপবৃত্তির নাম দেওয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা করে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে সুপার নজির আহম্মেদের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ইমরান

×