ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

বৃষ্টি এলে বিছানায় আর ঘুমাতে পারি না

সুমন কুমার সাহা, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সারিয়াকান্দি, বগুড়া

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ২৫ জুন ২০২৫

বৃষ্টি এলে বিছানায় আর ঘুমাতে পারি না

শীতের কষ্ট শেষে এখন বর্ষা,শত কষ্ট নিয়ে ঝুঁপড়ি ঘরেই বসবাস করেন ছবি বেগম।খাওয়ার কষ্টের সাথে জুটেছে এখন থাকার কষ্ট। টিনের ঘরের চালায় মরিচা ধরে ফুটো হয়ে গেছে । একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে মধ্যে পড়ে পানি। কুয়াশা ও বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পেতে টিনের চালের ওপরে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে পলিথিন। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে চালের ফুটো পলেথিন দিয়ে বন্ধ করেও রক্ষা নেই  এক ফুটো বন্ধ করলে আরেক ফুটো দিয়ে পানি ঝরে। ঘুমাতেও পারি না বৃষ্টির পানিতে কাপড়চোপড় ও বিছানা ভিজে যায়। তখন ঘরে থাকাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে । সারারাত জেগে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই । কথাগুলো বলছিলেন, বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লাল মিয়ার (৫৫)  স্ত্রী মোছাঃ ছবি বেগম (৪৫)। তিনি আরো বলেন, তাদের দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও ১ মেয়ের স্বামীর বাড়ি ভাত না হওয়ায় তাদের ঘারে এসে পরেছে। স্বামী লাল মিয়া ভ্যান গাড়ি চালিয়ে অভাবের সংসার চলতোস । সেই পথটাও এখন বন্ধ অসুস্থতা কারণে  গাড়ি নিয়ে বেরোতে পারেন না । সংসারে এখন উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় ছবি বেগম একটি কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করে অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন অতিবাহিত করছি । জরাজীর্ণ ঘর মেরামত করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। যদি কোনো সহৃদয়বান সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে অনেক উপকৃত হবো। 

তার স্বামী লাল মিয়া বলেন, আকাশে মেঘ দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ঝড়বৃষ্টির সময় সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে রাত কাটে। যে কোনো সময় ঝড়ে ঘর ভেঙে আমাদের গায়ে পারে। আমাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই, তাই বৃষ্টির পানিতে ভিজে, ভয়ে ও আতঙ্কের মধ্যে এখানেই থাকতে হচ্ছে।
প্রতিবেশীরা রফিকুল ইসলাম বলেন, ছবি বেগম খুবই অসহায়। সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন যায় তার। বৃষ্টি-বাদল আর শীতের দিনে খুব কষ্ট হয় তার। এখন মাথার উপর জরাজীর্ণ ঘরটি মেরামতে জন্য সমাজের বিত্তশালী, দানশীল কেউ তার পাশে দাঁড়ালে অন্তত তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।

Jahan

আরো পড়ুন  

×