ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংরক্ষিত শালবনের ১৩ একর জমি উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২৫ জুন ২০২৫

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংরক্ষিত শালবনের ১৩ একর জমি উদ্ধার

সংরক্ষিত শালবনের জমি উদ্ধার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বন বিভাগ সংরক্ষিত শালবনের ১৩ একর জমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার (২৪ জুন) পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সানবান্ধা এলাকায় এসব জমি উদ্ধার করা হয়। এ সময় জমিগুলোতে প্রায় ১১ হাজার ফলদ, বনজ ও শাল-গজারির সহযোগী গাছের চারা রোপণ করা হয়।

তবে ওই এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের দাবি, বন বিভাগের উদ্ধার করা অধিকাংশ জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন। সেখানে কলাবাগান রয়েছে। বন বিভাগ প্রশাসনের লোকজন নিয়ে এসে প্রভাব খাটিয়ে কলা গাছের ফাঁকে ফাঁকে চারা রোপণ করে গেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত (৩১ মে) বন বিভাগের লোকজন সানবান্দায় বিল্লাল হোসেনের দুই একর কলাবাগান কেটে সেখানে গাছের চারা রোপণ করেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গত (২ জুন) বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজুসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

এবার সখীপুর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বন বিভাগ ওই এলাকার ১৩ একর জমি উদ্ধার করল। ওই জমিতেও কলাগাছ রয়েছে। তবে গাছগুলো না কেটে ফাঁকে ফাঁকে ফলদ, বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী। এ সময় টাঙ্গাইল বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবু সালেহ, সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞাসহ বাসাইল সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদ আলী বলেন, জমিগুলো আমাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন। কাগজপত্রও আছে। বিগত ২০০৫ সাল পর্যন্ত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ প্রশাসনের লোকজন নিয়ে এসে চারা রোপণ করল। কী করব কিছুই বুঝতেছি না।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা এমরান আলী বলেন, ওই জমি সংরক্ষিত বনভূমির আওতাধীন। জমিতে আগে গজারি বন ছিল। স্থানীয়রা ধীরে ধীরে দখলে নিয়ে এতে কলাবাগান করেছে। পরে এ রকম আরও জমি পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হবে।

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, এখানে যাঁরা ভুক্তভোগী রয়েছেন, তাঁদের দাবিগুলো আমরা শুনেছি। তাঁদের কলা বাগানগুলোর ক্ষতি না করেই চারা রোপণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সায়মা ইসলাম

আরো পড়ুন  

×