
দৈনিক জনকণ্ঠ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বহুতল ভবন নির্মাণে আপত্তি জানাতে আসা পৌরসভার কর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) বিকেলে উলিপুর পৌরসভার রামদাস ধনিরাম নুরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাদ থেকে পড়ে আহত গোলাম মোস্তফা(৪৫) পৌরসভার কার্য-সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রামদাস ধনিরাম নুরপুরের সাইফুল ইসলাম পৌরসভার বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে প্রতিবেশী মমিনুল ইসলাম প্লাবন পৌর প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক কার্য-সহকারী মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের বিষয়ে জানতে চান। এসময় সাইফুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কিল-ঘুষি ও ধাক্কা মেরে ভবনের একতলার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন।
পরে আশপাশের লোকজন ও সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা মোস্তফাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মেহেরুল ইসলাম জানান, মোস্তফার দাঁতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পৌরসভার সহকারী কর নির্ধারক রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে সাইফুলের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাইফুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। আগেও একাধিকবার পৌরসভার লোকজন এসে দেখে গেছেন।
আজ নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ হচ্ছে বলে গোলাম মোস্তফা আপত্তি করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তিনি পা পিছলে নিচে পড়ে যান। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি সঠিক নয়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা বলেন, পৌর কর্মচারীকে মারধর করে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।
হ্যাপী