ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

ইআইইউ র‍্যাঙ্কিং: বিশ্বের তৃতীয় বসবাসের অযোগ্য শহর ঢাকা

মোঃ ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ্, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ঢাকা 

প্রকাশিত: ১১:১১, ১৮ জুন ২০২৫

ইআইইউ র‍্যাঙ্কিং: বিশ্বের তৃতীয় বসবাসের অযোগ্য শহর ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত

ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর ২০২৫ সালের গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্সে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের তৃতীয় সর্বনিম্ন বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ১৭৩টি শহরের মধ্যে মাত্র ৪১.৭ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকার অবস্থান ১৭১তম। বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কো সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে, তার পরেই লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি। ঢাকার পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি ও আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স।

ইআইইউ এর পাঁচটি মূল বিভাগে ঢাকার পারফরমেন্স অত্যন্ত হতাশাজনক। স্থিতিশীলতায় ৫০.০ পয়েন্ট, স্বাস্থ্যসেবায় ৪১.৭ পয়েন্ট, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০.৫ পয়েন্ট, শিক্ষায় ৬৬.৭ পয়েন্ট এবং অবকাঠামোতে ২৬.৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, অবকাঠামো বিভাগে ঢাকার স্কোর সর্বনিম্ন, যা শহরের মৌলিক সেবার দুর্বলতাকে প্রতিফলিত করে।

গত কয়েক বছরে ঢাকার অবস্থানের ক্রমাগত অবনতি হয়েছে। ২০২১ সালে ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৭তম, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ১৬৬তম, ২০২৪ সালে ১৬৮তম এবং ২০২৫ সালে ১৭১তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এই প্রবণতা নির্দেশ করে যে ঢাকার জীবনযাত্রার মান ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় এর অবস্থা আরও নাজুক হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কেবল ঢাকা ও করাচি নিচের ১০টি শহরের তালিকায় রয়েছে। করাচি ১৭০তম অবস্থানে রয়েছে ৪২.৭ পয়েন্ট নিয়ে, যা ঢাকার চেয়ে মাত্র এক ধাপ নিচে।

এবারের তালিকায় ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন প্রথম স্থান দখল করেছে, যা পূর্ণ ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। কোপেনহেগেন স্থিতিশীলতা, শিক্ষা ও অবকাঠামোতে পূর্ণ নম্বর পেয়েছে। শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া) ৯৭.১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়, জুরিখ (সুইজারল্যান্ড) ৯৭.১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়, মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া) ৯৭.০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ, জেনেভা (সুইজারল্যান্ড) ৯৬.৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম, এবং পর্যায়ক্রমে সিডনি (অস্ট্রেলিয়া), ওসাকা (জাপান), অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ড), অ্যাডিলেইড (অস্ট্রেলিয়া) ও ভ্যাঙ্কুভার (কানাডা)। এশিয়ার মধ্যে কেবল জাপানের ওসাকা শীর্ষ ১০-এ স্থান পেয়েছে সপ্তম অবস্থানে, যা স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় পূর্ণ স্কোর পেয়েছে।

আঁখি

×