
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে তার আরেক বান্ধবীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষক তার বাসা থেকে পালিয়ে গেছেন।মঙ্গলবার ১৭ জুন ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে শহীদ তাজ উদ্দিন আহাম্মেদ মেডিকেলে পরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত হলেন, খুলনার দিঘলীয়া উপজেলার দেবনগর দেয়াড়ী এলাকার সায়েম
সরদারের ছেলে নওশের আলী সরদার (৫৬)।
এলাকাবাসী, ওই কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধ নওশের দীর্ঘদিন আগে জীবিকার খোঁজে কালিয়াকৈর উপজেলার আন্দারমানিক এলাকায় আসেন। তিনি ওই এলাকার মনির হোসেনের বাড়িতে ডাড়া থেকে চা দোকান করেন।
গত ৯ জুন সন্ধ্যায় ওই এলাকায় এক কিশোরী পার্শবর্তী একটি দোকানে মশলা কিনতে যায়। পথিমধ্যে ১২ বছরের ওই কিশোরীর গতিরোধ করেন বৃদ্ধ নওশের। পরে তিনি জোর করে আন্দারমানিক পশ্চিমপাড়া এলাকায় লোকমান হোসেনের একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে
নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ওই কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন । এসময় তিনি বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণে মেরে
ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। ওই কিশোরীকে ধর্ষণের
ঘটনার সপ্তাহ খানেক পরে তার আরেক বান্ধবীকেও ধর্ষনের চেষ্টা করে নওশের। এ
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই ধর্ষক নওশের তার ভাড়া বাসা থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকায়
গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার মেডিকেল পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ছামিয়া