
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনিয়ারহাট থেকে শ্রীপুর কৌয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
সড়ক নির্মাণে ব্যবহারের জন্য বালু সরবরাহ করছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত এসব বালু আশপাশের কৃষিজমি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে জমির পাড় ভেঙে যাওয়াসহ কৃষিকাজে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার ফলে কিছু জমির স্থায়ী ক্ষতি হচ্ছে। তারা আশঙ্কা করছেন, এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়তে পারে। প্রতি হাজার (প্রায় এক হাজার সিএফটি) বালুর বাজারমূল্য ৯ হাজার টাকা—এই হিসাবে বালু সরবরাহ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর মতে, একাধিক জায়গায় একযোগে বালু উত্তোলনের কারণে প্রাকৃতিক ও সামাজিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, এভাবে কৃষিজমি ব্যবহৃত হতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে তা পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে সড়ক নির্মাণের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ‘লোকেশন দিন, ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সানজানা