ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

বর্ষণে প্রাণ ফিরেছে সীতাকুণ্ডের ৮ ঝরনার

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০০:২২, ১৫ জুন ২০২৫

বর্ষণে প্রাণ ফিরেছে সীতাকুণ্ডের ৮ ঝরনার

বৃষ্টির পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে সীতাকু-ের ইকোপার্কের সহস্রধারা ঝরনা

শুষ্ক মৌসুমে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ঝরনাগুলোতে তেমন পানি থাকে না। সাম্প্রতিক কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ডের ঝরনাগুলোতে প্রাণ ফিরে এসেছে। ফলে সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঝরনাগুলোর দিকে ছুটছেন পর্যটকেরা। সীতাকুণ্ডের ইকোপার্কে সহস্রধারা-১ ও সুপ্তধারা, বারৈয়াঢালার সহস্রধারা-২, রূপসী ঝরনা, মধুখাইয়া, বাড়বকু-ের অগ্নিকু-, বাঁশবাড়িয়া বিলাসী ঝরনা ও কুমারীকু- নামের আটটি ঝরনা আছে। মীরসরাই উপজেলায় একাধিক ঝরনা থাকলেও সবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে আনন্দ-উল্লাস করতে গিয়ে সেখানে কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। 
তবে সীতাকু-ের ঝরনাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। যার কারণে নির্ভয়ে সীতাকু-ের ঝরনাগুলো দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমায়। এর মধ্যে সহজেই ইকোপার্কের সুপ্তধারা ও সহ¯্রধারা-১ ঝরনাটিতে যেতে পারেন পর্যটকেরা। কিন্তু বাকি ৬টি ঝরনায় যেতে হলে পর্যটকদের পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে হয়। পাহাড় ডিঙিয়ে ঝরনার কাছে যাওয়াটা অনেকেই আবার অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে উপভোগ করেন। পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইট-পাথরের নগরজীবন থেকে তারা একদিনের জন্য যখন ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন তখন অন্য রকম ভালো লাগে।

বিভিন্ন সময় অজগর, সজারু, বনবিড়াল, বনমোরগ, এমনকি হনুমানেরও দেখা মেলে। ঝরনার সৌন্দর্য মন উদাসীন করে তোলে। ঝরনার কাছে যেতেই পর্যটকেরা কেউ ঝরনার নিচে দাঁড়িয়ে নিজের গা এলিয়ে ভিজতে থাকে। আবার কেউ ঝরনার নিচে জমে থাকা পানিতে সাঁতার কাটেন।
ইকোপার্কের সহ¯্রধারা ঝরনায় দেখা গেছে ঝরনাপ্রেমী পর্যটকেরা ভিড় করছেন। অনেকে তাদের শিশু সন্তান নিয়েও ঝরনা দেখতে এসেছেন। বন্ধু-বান্ধব মিলে অনেকেই দলবেঁধে ঝরনা দেখতে আসেন। চট্টগ্রাম থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, এক বছর পর আবার ঝরনা দেখতে এসে তার খুবই ভালো লাগছে। তারা বন্ধুরা মিলে ঝরনা দেখতে এসেছেন। স্বামী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে আসা রতœা বিশ্বাস বলেন, কয়েকদিনের গরমে তারা অতিষ্ঠ। বৃষ্টি হওয়ায় ঝরনা দেখতে এসেছেন।

মূলত সন্তানকে ঝরনা দেখানোর জন্যই তাদের এখানে আসা। ঢাকা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে আসা আবরার গালিব বলেন, বৃষ্টি হলেই ঝরনাগুলোতে প্রাণ ফিরে আসে। তারা ঝড়-বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কয়েকদিনের অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তারা। ইচ্ছেমতো ভিজতে ইচ্ছে করছিল। তাই বৃষ্টির অপেক্ষা করছিলেন তারা। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তারা আর ধৈর্য ধরতে পারছিলেন না। সীতাকু- পৌর সদর থেকে ছোট দারোগাহাট লবণাক্ষ হ্রদ অতিক্রম করেই সহ¯্রধারা ঝরনা। নৌকা ভ্রমণ করতে করতে এক সময় পৌঁছে যাবেন সহ¯্রধারা ঝরনায়। সেখানে ঝরনার জলে গা ভাসিয়ে দিতে পারেন।

×