ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

যাতায়াতে ভোগান্তি

খানাখন্দে ভরা দুরাকুটি বামনেরবাসা সড়ক

জামাল বাদশা, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ১৪ জুন ২০২৫

খানাখন্দে ভরা দুরাকুটি বামনেরবাসা সড়ক

দুরাকুটি থেকে বামনেরবাসা পর্যন্ত সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত

লালমনিরহাটের দুরাকুটি থেকে বামনেরবাসা পর্যন্ত সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে এই সড়কে যাতায়াত কার্যত রূপ নেয় দুর্ভোগে। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া, জাউরানী, খামারভতি, কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর, চাপারহাট, বলাইরহাট, লোহাকুচী, দুলালী আদিতমারী উপজেলার বামনেরবাসা, তালুক দুলালী, বাগদীর বাজার, হাজীগঞ্জ,  ভেলাবাড়ী, দুর্গাপুর, কালীস্থান ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১০ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। চাপারহাট ও দইখাওয়া থেকে প্রতিদিন ঢাকাগামী ১১টি বাস চলাচল করে। 
এ ছাড়া নিয়মিত চলে হাজারো মোটরসাইকেল, শতাধিক ট্রাকসহ পণ্যবাহী যান ও রিক্সা-ভ্যান। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে যানবাহন উল্টে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। জেলার আদিতমারী উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন (৩৫) বলেন, ‘এই রাস্তাটা দিয়ে মাল আনা-নেওয়া করতে অনেক সময় লেগে যায়। গাড়ি ধীরে চলে, আবার অনেক সময় খালি পড়ে যায়। এতে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।’

এলজিইডি এর কর্মকর্তারা শুধু পরিদর্শন করে আর জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দেয় কিন্তু কেউ সংস্কার কাজ করে না। ভেলাবাড়ী এলাকার সমাজসেবক রিপন মিয়া (৩২) জানান, ‘ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নারী ও বৃদ্ধদের জন্য এই রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। স্কুলে যাওয়া-আসার সময় বেশি সমস্যা হয়। রাস্তা ভালো করতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।  ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল করিম (৪০) বলেন, ‘আমরা বারবার এই সড়ক সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো কাজ শুরু হয়নি।

জনগণ প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছে।’ দইখাওয়া থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাসের চালক তৌফিক হোসেন (২৭) জানান, ‘এই রাস্তা দিয়ে বাস চালানো একটা ঝুঁকির কাজ। গর্তে পড়ে বাসের চাকা ফেটে যায়, সাসপেনশন নষ্ট হয়। যাত্রীরাও অভিযোগ করেন সব সময়।’ এ বিষয়ে লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম জানান, ‘আমি নিজে ওই সড়কটি পরিদর্শন করেছি। এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের একটি প্যারালাল সড়ক, যা দুরাকুটি থেকে হাতিবান্ধা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করেছে। রাস্তাটি কিছু অংশে চওড়া, কিছু অংশে সরু।

আমরা আরটিআইপি ফলোআপ প্রকল্পে এটি অন্তর্ভুক্ত করেছি। প্রকল্পটি এখনো অনুমোদিত না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ সংস্কারকাজ শুরু“ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও জানান, ‘চলতি অর্থবছরে খানাখন্দযুক্ত কিছু অংশ সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি দীর্ঘ সড়ক, তাই পর্যায়ক্রমে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।’

×