ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৮ মাস আগে বিয়ে

বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে মানসিক নির্যাতন, অবশেষে গৃহবধূর আত্মহত্যা!

নিজস্ব সংবাদদাতা, আখাউড়া

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ১১ জুন ২০২৫

বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে মানসিক নির্যাতন, অবশেষে গৃহবধূর আত্মহত্যা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের আট মাসের মাথায় কেরির বড়ি খেয়ে জোনাকী আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার (১১ জুন) বিকালে জোনাকী আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহত জোনাকী আক্তার পৌরশহরের দেবগ্রাম পূর্বপাড়ার জুয়েল মিয়ার স্ত্রী এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় জুয়েল মিয়া তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকার জন্য চাপ দিতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। ঈদুল আজহার পর সোমবার বিকালে জুয়েল মিয়া তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে নিয়ে যান।

বুধবার সকালে সে সেখান থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। শ্বশুরবাড়িতে আপ্যায়ন নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। বিষয়টি জোনাকী আক্তার মেনে নিতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর তাকে ছটফট করতে দেখে জুয়েল মিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় বোন পপি আক্তার অভিযোগ করেন, আট মাস আগে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে জোনাকী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় টাকার জন্য চাপ দেওয়া হত। ঘর করার জন্য আমরা তাকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। বোনকে একটি স্বর্ণের চেইন দিয়েছিলাম, সেটিও সে বিক্রি করে খেয়ে ফেলেছে। ঈদের বেড়ানোর পর সকালে আমাদের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, জুয়েল মিয়া তাকে কেরির বড়ি খাইয়ে হত্যা করেছে। আমরা তার ন্যায্য বিচার চাই।

এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, বেলা তিনটার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রোগীর স্বজনরা জানান, সে কেরির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ছমিউদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কেরির বড়ি খেয়ে মারা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

সজিব

×