
দৈনিক জনকণ্ঠ
কুমিল্লার মুরাদনগরে তিতাস নদীতে ফেলে দেওয়া কোরবানির পশুর বর্জ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার বর্জ্যগুলো নদী থেকে অপসারণ করে রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চামড়া ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ঈদের পরদিন রবিবার গভীর রাতে ১৫ থেকে ২০ বস্তা কোরবানির পশুর বর্জ্য নদীতে ফেলে দেয়া হয়। সোমবার বিকালে বাতাসে পচা দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসী বস্তা গুলো নদীতে ভাসতে দেখে উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন কর্তৃক মঙ্গলবার বিকালে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় এলাকায় তথ্যে পাওয়া অভিযুক্ত কসাই আমিরকে সরেজমিনের উপস্থিত করা হয় এবং বুধবার (১১ জুন) বিকালের মধ্যে উক্ত পশুর বর্জ্য অপসারণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কসাই আমির নিজের দোষ স্বীকার করে অনুতপ্ত হয়ে বজ্যগুর্লো গর্তে পুঁতে রাখার অঙ্গীকার করেন। অঙ্গীকার মতে বুধবার বিকালের মধ্যে নদী থেকে বর্জ্যগুলো অপসারণ করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানকালে সহযোগিতায় ছিল, রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন, মুরাদনগর থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশগণ।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিতাস নদীতে কোরবানি পশুর বর্জ্য নিক্ষেপের ফলে এলাকায় বায়ু দূষণ দেখা দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সংশ্লিষ্টরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে অনুতপ্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণ করে গর্তে পুঁতে রাখার অঙ্গীকার করেন।
অঙ্গীকার মতে তারা বর্জ্য অপসারণ করছেন। জনস্বার্থে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় উপজেলা প্রশাসন।
হ্যাপী