
ছবি: সংগৃহীত
পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড সংলগ্ন রক্ষা বাঁধে প্রায় ২০০ মিটার অংশ পদ্মায় ধসে পড়েছে। এই ভাঙনের কারণে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার তিনটি গ্রামের অন্তত ৬০০ পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে এরই মধ্যে দুটি গ্রাম থেকে ১৩টি বসতঘর ও দুটি দোকানঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, পদ্মা নদীতে পানি ও স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় জানান, বাঁধের কিছু অংশে ভাঙনের কারণে স্থানীয়দের মনে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত কিছু মানুষ এরই মধ্যে তাদের ঘর সরিয়ে নিয়েছেন এবং উপজেলা প্রশাসন তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে সেতু থেকে ভাটির দিকে ২ কিলোমিটার এলাকায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছিল বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে সেই বাঁধের সঙ্গেই নদী শাসনের বাঁধ সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। পাউবোর শরীয়তপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, রক্ষা বাঁধটির কিছু অংশে সংস্কার কাজ চলছিল। নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় উজানের দিকে কিছু অংশ ভেঙেছে, যা ঠেকাতে গত রোববার থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
এই ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন সেতু উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা অতি দ্রুত এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যক্রম শুরু করব। কোনো মানুষের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার মতো দুঃখজনক কিছু হতে পারে না।"
এই ভাঙন স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করলেও, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সাব্বির