ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জুলাই-আগস্টের শহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণে পশু কুরবানি দিলেন ড. মঈন খান

সাইফুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী

প্রকাশিত: ১৮:০১, ৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:০৬, ৭ জুন ২০২৫

জুলাই-আগস্টের শহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণে পশু কুরবানি দিলেন ড. মঈন খান

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

জুলাই-আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে পশু কোরবানি দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.আবদুল  মঈন খান। 

শনিবার (৭ জুন) সকালে ঘোড়াশাল পৌর ঈদগাঁহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় শেষে বেলা দশটার দিকে পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জুলাই-আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে গরু কুরবানি দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া সামর্থ্য অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে নিহত শহীদদের স্মরণে পশু কুরবানি দেওয়ার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।

এসময় মঈন খান বলেন, কারবালা জিহাদ করতে গিয়ে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। মুশরিক, ব্রিটিশ ও ইহুদি এই ত্রিমুখী শক্তির মোকাবেলা করেছিলেন সেই মুজাহিদেরা। তারা জিহাদ ও ত্যাগ-কুরবানীর যে চেতনা সৃষ্টি করে গেছেন, উজ্জীবনা সৃষ্টি করে গেছেন, তা কেয়ামত পর্যন্ত মুমিনদের জন্য অনুপ্রেরণার স্মারক হয়ে থাকবে। ঠিক একইভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে যেভাবে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শাহাদাত বরণ করে নিয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের শহীদরা, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন চেতনার দৃষ্টান্ত করে দেশের মানুষের জন্য  উজ্জীবনা সৃষ্টি করে গেছেন,তা বাংলার মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।  

এসময় মঈন খান আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার এই দিনে আমরা যেভাবে পশু কুরবানি দিয়ে ত্যাগের মহিমায় নিজেদের উজ্জীবিত করি। ঠিক একইভাবে এই ত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে ও জুলাই-আগস্টে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণে রেখে দেশে সততা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ন্যায় ও সততা ব্যতীত পৃথিবীর কোনো দেশ উপরে উঠতে পারে না। 

যারা অন্যায়-অপরাধ করার পরিকল্পনা করছেন এবং যারা অন্যায়কারী রয়েছেন তাদের ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। তিনি শুধু ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হননি, একমাত্র বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অপরাধীদের এভাবেই পালাতে হয়। অপরাধী বা স্বৈরশাসক যতই ক্ষমতাধর হোক তাদের পতন নিশ্চিত। 

এসময় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সাত্তার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন,পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল,  সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন,  ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ফারুক

×