ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাউফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ২১:২২, ৩ জুন ২০২৫

বাউফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

বাউফল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ এনে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তারা ইউএনও’র অপসারণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনের শিক্ষার্থী মিরাজ ইমতিয়াজ, সৈয়দা রুশদা, সাকের হোসেন ও আহমেদ ফাহাদ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাউফলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের অংশ হিসেবে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করলে ইউএনও’র নির্দেশে তার আশ্রিত সন্ত্রাসী ও আনসার বাহিনী হামলা চালায়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ, হামলার পর ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে ওসি অভিযোগ গ্রহণ না করে শুধুমাত্র সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে বাধ্য করেন। তবুও হামলার ভিডিও ফুটেজ ও হামলাকারীদের পরিচয় থাকা সত্ত্বেও এখনো কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

মিরাজ ইমতিয়াজ বলেন, “আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে চেয়েছিলাম, আর এজন্যই হামলার শিকার হয়েছি। এটি শুধু আমাদের ওপর হামলা নয়, বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত।”

সৈয়দা রুশদা বলেন, “এত বড় ঘটনার পরও প্রশাসনের নীরবতা আমাদের বিস্মিত করেছে। থানায় গিয়ে আমরা ন্যায়ের দাবী করতে পারিনি।”

তাদের দাবিতে রয়েছে ইউএনও’র অবিলম্বে অপসারণ, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সাংবাদিকদের ওপর হুমকি ও মিডিয়ায় হস্তক্ষেপের তদন্ত।

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, "আমরা বিষয়টি দেখব।"

ঘটনাটি ইতোমধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নাগরিক সমাজ ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছেন।

মিমিয়া

×