ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাতক্ষীরায় সেতু সংযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত: ২২:০৮, ২ জুন ২০২৫

সাতক্ষীরায় সেতু সংযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত এল্লারচর সেতুটির একাংশের সংযোগ স্থান  ধ্বসে পড়ায় তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে।  সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা এবং আশাশুনি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ  ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে পরাপার হচ্ছে।  ঝঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসি খুঁটিতে  লাল কাপড় টানিয়ে বিপদ সংকেত জানান দিচ্ছে।  ১৫দিন আগে গত ১৮ মে রাতে সেতুটির  সংযোগ সড়কের একাংশ হঠাৎ ধ্বসে পড়ে। এরপর থেকে নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।


স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এল্লারচর, শিমুলবাড়িয়া, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা, ফিংড়ি ইউনিয়নের বালিথা, মেল্লেকপাড়া, পৌরসভার কুখরালি, চালতেতলা, গড়েরকন্দা, বড়খামার, উমরাপাড়া, , দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বিলশিমুলবাড়িয়া, চরবালিথা, শ্যামনগর, ঢালিরঘের, আন্দোলপোতা, শশাডাঙ্গা, গবরাখালি, টিকেট, পুঁটিমারি, রঘুনাথপুর এবং আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের সরাফপুর, হাজিপুর, বাউচাষ, শালখালি, বদরতলাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। এল্লারচর সেতু দিয়ে ব্যবসায়ী, সরকারী-বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি ধ্বসে পড়ার পর তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আশেপাশে বিকল্প কোন মাধ্যম না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারী-শিশুসহ সব বয়সের মানুষ পারাপার হচ্ছেন। ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুর ওপারে দেবহাটার অংশে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন চিংড়ি ও সবজি চাষিরা। যেকোন সময় সেতুটির সম্পূর্ণ অংশ ধ্বসে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা। ষাটের দশকে নির্মিত এই সেতুটি ধীর্ঘদিন ধরেই ঝঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। 


এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ সোমবার সকালে ধ্বসে পড়া এল্লারচর সেতুটি পরিদর্শন করে জানান, “সেতুটি অনেক পুরাতন। সেতুটির প্রশস্ততা নদীর চেয়ে কম। জোয়ার-ভাটার স্রোতের টানে হয়তো সেতুটির সংযোগ বেজমেন্ট  ধ্বসে গিয়েছে।
 

Jahan

×