ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা করে নাটক সাজিয়ে বিচার চাইলেন মা, পুলিশের তদন্তে ফাঁস হলো রহস্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর, পাবনা।

প্রকাশিত: ২২:০৭, ২ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:০৮, ২ জুন ২০২৫

ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা করে নাটক সাজিয়ে বিচার চাইলেন মা, পুলিশের তদন্তে ফাঁস হলো রহস্য

পাবনার চাটমোহরে পাঁচ মাস বয়সী ঘুমন্ত কন্যা শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যার পর নিখোঁজ নাটক সাজান মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস। ঘটনার পর কান্নাকাটি করে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ভয়াবহ সত্য এই হত্যা করেছেন তিনিই। ঘটনাটি ঘটেছে চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে কমল মন্ডল ও শ্রাবন্তী বিশ্বাস দম্পতির সন্তান নিহত শিশু সোহাগী রানী। 

এ বিষয়ে চাটমোহর থানা পুলিশ সোমবার (২ জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরজুমা আক্তার সম্মেলনে বলেন, “শ্রাবন্তী বিশ্বাস স্বীকার করেছেন যে পারিবারিক অশান্তি ও মানসিক অস্থিরতার কারণে তিনি মেয়েকে হত্যা করেছেন। পরবর্তীতে নিজেকে আড়াল করতে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে বিচার চাওয়ার অভিনয় করেন। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কমল মন্ডল বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩১ মে) সকালে শ্রাবন্তী বিশ্বাস তার শিশুকে বাড়ির উঠানে চৌকিতে শুইয়ে রেখে পাশের বাড়িতে খড় আনতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার কথা বলে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির পাশের বড়াল নদীতে উপুড় হয়ে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও এলাকাবাসীর সামনে কান্নাকাটি করেন শ্রাবন্তী, এমনকি নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার মামলা দায়ের করতে চান। কিন্তু তার কথাবার্তায় অসামঞ্জস্য দেখা দিলে পুলিশ গভীর তদন্তে নামে।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মঞ্জুরুল আলম বলেন, শিশু নিখোঁজ হওয়ার সময় ও মায়ের বর্ণনায় কিছু অসংগতি আমাদের নজরে আসে। এ কারণে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে শিশুটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দিয়েছেন তিনি নিজেই।

রোববার (১ জুন) শ্রাবন্তী বিশ্বাসকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রিফাত

×