ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মতলবে কোরবানির হাটে চমক ‘কালো পাহাড়’! বিশাল ষাঁড় দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকজন

সুমন আহমেদ, মতলব, চাঁদপুর

প্রকাশিত: ২২:০০, ২ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:০৩, ২ জুন ২০২৫

মতলবে কোরবানির হাটে চমক ‘কালো পাহাড়’! বিশাল ষাঁড় দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকজন

ঈদুল আজহার আর মাত্র ক’দিন বাকি। এরই মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পশুর হাটে রাজত্ব করছে এক বিশাল আকৃতির ষাঁড়—যার নাম ‘কালো পাহাড়’। বিশালদেহী এই গরু দেখতে হাটে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো মানুষ।

মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের চান্দ্রাকান্দি গ্রামের কবির এগ্রো ফার্মে লালন-পালন করা হয় ষাঁড়টি। ফার্মের পরিচালক সুজন সরকার সোমবার (২ জুন) ঐতিহ্যবাহী ছেংগারচর হাটে কোরবানির জন্য গরুটি নিয়ে আসেন।

সুজন সরকার জানান, “তিন বছর আগে ছোট অবস্থায় ষাঁড়টি কিনে এনে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করেছি। খাঁটি ঘাস, খড়, খৈল, ভূসি খাইয়ে হালাল উপায়ে বড় করেছি। কোনো ইনজেকশন বা কেমিক্যাল ব্যবহার করিনি।”

গরুটির নামকরণ কেন ‘কালো পাহাড়’? জানতে চাইলে সুজন বলেন, “গরুটির বিশালতা আর গা-ঢাকা কালো রং দেখে স্থানীয়রাই নাম দিয়েছে ‘কালো পাহাড়’। ওজন প্রায় ৯৫০ কেজি, দৈর্ঘ্য ৮.৫ ফুট, উচ্চতা ৫.৮ ফুট। বাজারে দাম হাঁকছি ৫ লক্ষ টাকা, তবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দাম বলেছে একজন ক্রেতা।”

হাটে গরু দেখতে আসা ইসমাইল খান টিটু বলেন, “এমন গরু আমি জীবনে দেখি নাই। একেবারে পাহাড়ের মতো! যারা বড় গরু কোরবানির ইচ্ছা রাখেন, তাদের জন্য একদম পারফেক্ট।”

কবির এগ্রো ফার্মে এ বছর মোট ১৫টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। সুজন বলেন, “আজ না বিক্রি হলে কাল হবে, ঈদের এখনো সময় আছে। যারা স্বাস্থ্যসম্মত ও হালাল উপায়ে মোটাতাজা করা গরু কোরবানিতে দিতে চান, তারা আমাদের ফার্মে এসেও কিনতে পারেন।”

ছেংগারচর হাটে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে গরুটির সৌন্দর্য, আকার ও স্বাস্থ্য দেখে প্রশংসার ঝড় উঠে। অনেকে শুধু ছবি তুলতেই ভিড় করছেন বিশাল এই ‘কালো পাহাড়’-এর পাশে।

মিমিয়া

×