
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মহব্বত হোসেন (৬০) নামের একজন বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৪ জন। নিহত মহাব্বত হোসেন নাকোবাড়িয়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।
রবিবার সকালে উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের শ্বশ্মানঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের সাথে বিএনপির অপর পক্ষ আরিফ, লিটন, বুলু ও আশরাফ’র সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।
শনিবার এক গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাকোবাড়িয়া ও তালিয়ান গ্রামে মহড়া দেয় এবং তা ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এই মহড়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারই জের ধরে রবিবার সকালে জামাল ইউনিয়নের নাটোবাড়িয়া গ্রামের শ্বশ্মানঘাট এলাকায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মহব্বত হোসেনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়। দুপুরের দিকে ফরিদপুর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম জানান, নাকোবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত মহববত হোসেন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো সহ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল হাওলাদার বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। প্রাথমিকভাবে ৭জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
সাব্বির