ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গুমের সাথে জড়িতদের বিচার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ৩১ মে ২০২৫

গুমের সাথে জড়িতদের বিচার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে গুমের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সাতক্ষীরা শাখার আয়োজনে শহরের খুলনা রোড মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অধিকার সাতক্ষীরা জেলার হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ও সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট শেখ আলমগীর আশরাফ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা থেকে ঘুমের শিকার ডাঃ মোখলেসুর রহমানের পিতা মোহাম্মদ রাশেদ, গুম হওয়া যুবদল নেতা আবু সেলিমের ভাই আলীপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম, সাতক্ষীরা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর আলী, অধিকার সাতক্ষীরার সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ঢালী, শ্রমিকদলনেতা রেজাউল ইসলাম রেজা, সাংবাদিক শাহ জাহান আলী  প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি মানববন্ধনে অংশ নেয়।


মানববন্ধনে গুমের স্বীকার মোখলেছুর রহমানের পিতা শেখ আব্দুর রাশেদ বলেন, ২০১৬ সালে ৪ আগষ্ঠ আমার সন্তানকে থানার হাজত খানায় রাখে। পরে থানার ওসি তাকে গুম করে।
বর্তমান সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার সন্তানকে খুজে বের করে দেওয়া হক। বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম বলেন ২০১১ সালের ২৯ মে যুবদলনেতা মো. আবু সেলিমকে ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুম করে। আজও তার কোন সন্ধান পায়নি পরিবার।
মানববন্ধনে অধিকার সাতক্ষীরার হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার এড. শেখ আলমগীর আশরাফ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গুমের শিকার যে সব ব্যক্তি ফেরত আসেননি তাঁদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জনগনকে জানানো এবং যে সমস্ত গুমের শিকার ব্যক্তি এখনও ফিরে আসে নাই, তাঁদের স্ত্রী-সন্তানরা যাতে গুম হওয়া ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বেচা এবং ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা করার দাবী জানান।


তিনি আরো বলেন, গুমের পর কিছু ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তাঁদের পাওয়া গেছে। তাই ভারতে আরো গুমের শিকার ব্যক্তি আছেন কি-না সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করে তা জানার উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান। যে সমস্ত ব্যক্তি গুমের পর ফেরত এসেছেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি কাউকে কাউকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে, এই সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
আলমগীর আশরাফ গুমের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করাসহ ৫ দফা দাবী পেশ করেন।

Jahan

×