
ছবি:জনকণ্ঠ
গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের বেশি লাভের মুনাফা দেখিয়ে শতশত গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে, দোহাজারী গ্রামীণ উন্নয়ন সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
গত ২/৩ বছর আগে দোহাজারী পৌর সদরে রেল'স্টেশন রোডস্থ শারজাহ বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় খোলা হয়। সেই কার্যালয়ের পরিচালক প্রধান ফরিদুল আলম গ্রাহকের জমানো টাকা নিয়ে বিদেশি পালিয়ে যান। আরো ৫ জন পরিচালক পালাতক রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গ্রাহকদেরকে বলেন, এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত ও অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান। আপনাদের টাকা সরকার দ্বিগুণ লাভ দিবে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারি পরিচালকরা বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা সংগ্রহ শুরু করেন। কিছু দিন পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের আমানতের বিপরীত ঋণ বিতরণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই প্রধান কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে ফরিদুল আলম ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে গ্রাহকরা মুঠোফোনে না পেয়ে অফিসে আসলে, তখন দেখতে পান কার্যালয়ে তালা ঝুলানো।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই দিনমজুর, রিক্সা চালক ও প্রবাসী। তারা জানান, সরকারি অনুমোদিত বলে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। টাকা যাঁদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাঁদের আমানতের বিপরীতে সহজ কিস্তিতে ঋণ, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানো, মৃত্যুর পর ঋণ মওকুফ করা, সঞ্চয়ের দ্বিগুন লাভ, ঘর নির্মাণ করে দেওয়াসহ নানা আশ্বাস দেওয়া হয়। ৫ বছর মেয়াদে অধিক লাভ দেখিয়ে ২২ সালে ২ লাখ টাকা ও ২৩ সালে দেড় লাখ টাকা কিস্তি নেন। কিন্তু বছর না যেতেই বন্ধ হয়ে যায় প্রধান কার্যলয়।
উপজেলা সমবায় অফিসার, সামসুদ্দিন ভূইয়া জানান, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একাধিক বার অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়ে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
আঁখি