
ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কবিরুল ইসলাম মৃধা ও তার দুই ভাইসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে মারধর হামলা ছিনতাইয়ের অভিযোগে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দায়ের করা এ মামলায় আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। কলাপাড়ার ধানখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট আরএনপিএল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি থেকে কয়লা উত্তোলনের লেবার ও পেডুলার সরবরাহের ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণের বিরোধকে কেন্দ্র করে এ মামলা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কলাপাড়ার চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম মহসিন তালুকদারের ভাই আতিকুর রহমান তালুকদার এ মামলাটি করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জাহাজ থেকে কয়লা উত্তোলনের লেবার সরবরাহসহ পন্টুন ও পেলুডার সরবরাহের ঠিকাদারি কাজ মূল মালিক হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে গত ৯ জানুয়ারি থেকে ৬ মাসের চুক্তিতে কার্যাদেশ নিয়ে এএমটি এন্টারপ্রাইজের মালিকের ভাই প্রতিনিধি হয়ে লেবারসহ ১২ মে সকাল ১১ টায় পেডুলার সংগ্রহের প্রস্তুতি নেন। এসময় আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় এসে এককালীন পাঁচ লাখ ও প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাদের উপর মারধর ও হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে সাথে থাকা টাকা পয়সা ও গলার স্বর্ণালংকার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
বিজ্ঞ আদালত কলাপাড়া থানার ওসিকে বিষয়টি এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি যুবদল নেতা কবিরুল ইসলাম মৃধা জানান, “আমার ভাই শাহীন মৃধার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে বাদী ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে শতাধিক মোটরসাইকেল যোগে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা মারধর ও নারকীয় তাণ্ডব চালায়। অফিসঘরে অগ্নি সংযোগ করে আমার ভাই কে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় মামলা করায় এটি একটা কাউন্টার মামলা।” চাঁদাবাজির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, “আদালতের নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মিরাজ খান