
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় সাত বছরের এক শিক্ষার্থীর চোখে স্কেল ছুড়ে মারায় শিশুটির চোখ নষ্ট হওয়ার ঘটনার অভিযোগে স্কুল শিক্ষক রাহাতুল ইসলাম সৌরভকে গ্রেপ্তার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। সোমবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত স্কুল শিক্ষক রাহাতুল ইসলাম সৌরভকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে৷
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শহীদ উল্লাহ৷
রবিবার (১১ মে) রাত ৮টায় উপজেলার বাতাকান্দি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাতাকান্দি বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং হোমনা ডিগ্রি কলেজের বিএ-এর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রায় ১০ মাস আগে তিনি বাতাকান্দি সেবা মাল্টিমিডিয়া স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফারহান ইসলাম রোহান (৭) তিতাস উপজেলার দক্ষিণ আকালিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী রবিউল ইসলামের ছেলে ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। শিক্ষার্থী শিশুটির মা মায়া আক্তার বলেন, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ক্লাস নেওয়ার সময় শিক্ষক রাহাতুল মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সময় ক্লাসে হইচই শুরু হলে তিনি প্রথমে ফারহানের পিঠে স্কেল দিয়ে আঘাত করেন। স্কেলটি ভেঙে গেলে পরে ভাঙা স্কেলটি ছুড়ে মারেন, যা সরাসরি ফারহানের ডান চোখে লাগে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মায়া আক্তার জানান, ওই আঘাতে ফারহানের ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে এবং বাঁ চোখের দৃষ্টিও ১০ শতাংশ কমে গেছে। এ পর্যন্ত দু’বার তার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সন্তানকে সুস্থ করতে গত আট মাস ধরে দেশ-বিদেশে ছোটাছুটি করছেন বলে জানান তিনি।
ঘটনার পর গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তিতাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির মা মায়া আক্তার। পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে। তবে ঘটনার দীর্ঘ সময় পর গত ৩০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত চোখ, ৮ মাস ধরে শিশুটির চিকিৎসায় পরিবারের ছোটাছুটি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি তিতাস থানা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয় এবং এরপর থেকেই শিক্ষক রাহাতুলকে গ্রেপ্তারে তৎপর হয় পুলিশ।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, “শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে সাত বছরের শিশুর চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শিক্ষক রাহাতুল ইসলাম সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের পাঠানো হয়েছে।”
আসিফ