
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ কন্যা পটুয়াখালীর দুমকির আলোচিত লামিয়া আক্তারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন কিশোরের মধ্যে পলাতক কিশোর চার্জশীটভুক্ত আসামী ইমরান মুন্সি (১৭) কে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রবিবার (১১ মে) বিকাল ৫টার দিকে বরিশাল জেলার এয়ারপোর্ট থানা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত বুধবার দুমকি থানার ওসি তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। এজাহারে উল্লেখিত দুই আসামী ছাড়াও তদন্তকালীন সময়ে ইমরান মুন্সির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তিন জনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জসিম হাওলাদার। গত ১৮ই মার্চ সন্ধ্যার পর লামিয়া তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হন। পরে লামিয়া বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় মামলা দায়ের করেন। দুমকি থানা পুলিশ আসামী শাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। তারা সংশোধনাগারে রয়েছে।
২৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকে ৬নং রোডে ভাড়া বাসায় গলায় ফাসঁরত ঝুলন্ত অবস্থায় লামিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গ্রামের বাড়ীতে বাবার কবরের পাশেই লামিয়া আক্তারকে দাফন করা হয়। মেয়ের দাফনের পর মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ায় রাতেই তার মা মোসা. রুমা বেগমকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার মায়ের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মোসা. রুমা বেগমের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় পেশাদার কাউন্সেলিং নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ৫ মে পটুয়াখালীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইউসুফ হোসেন এ মানবিক আদেশ প্রদান করেন। সর্বশেষ ১১ মে বরিশাল থেকে চার্জশীটভুক্ত পলাতক আসামী ইমরান মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
আসিফ