ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

ঘিওর মাইলাগী সরকারি প্রাইমারি স্কুল 

পরিত্যক্ত ঘরে পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘিওর, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২১ আগস্ট ২০২৩

পরিত্যক্ত ঘরে পাঠদান

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মাইলাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ঘর

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ২নং মাইলাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচটি কক্ষ পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে ২০০১ সালে।  দীর্ঘ ২২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও নতুন ভবন নির্মাণ না করায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। নতুন ভবনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন করলেও কোনো সুফল হয়নি। 
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঘিওর উপজেলা সদর থেকে মাত্র দেড় কিমি দূরে ২নং মাইলাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় একশ’ ৮৭ জন। শিক্ষক সংখ্যা ছয়জন। একটি শিফটে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অপরটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাধ্য হয়ে দুই শিফটে শ্রেণি পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে কালবৈশাখী ঝড়ে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট টিনের ঘরটির চাল উড়ে যায়। চারপাশে দেওয়াল ফেটে রড বেরিয়ে গেছে। ম্যানেজিং কমিটি কোনো রকম মেরামত করে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ঘরটি ব্যবহারের একেবারে অযোগ্য। চালের টিনগুলো ফুটো হয়ে গেছে। দরজা, জানালাগুলো ভেঙে গেছে।

একাডেমিক ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়েই নড়বড়ে ঘরেই পাঠদান চলছে। একটি টিউবওয়েল থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। প্রসাবখানা নেই। টয়লেটটি ব্যবহারে অযোগ্য। প্রকৃতির ডাকে শিক্ষার্থীরা বাইরে যেতে পারে না। স্থানীয় এক অভিভাবক জানান, আমাদের এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নবঞ্চিত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে প্রতিনিয়ন লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত একটি ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।  
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে টিনের ঘরটি একাংশ ঝড়ে ল-ভ- হয়ে যায়। অধিকাংশ টিনগুলো ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টির সময়ে পানি পরে। দরজা, জানালা সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। 
উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা পারভিন আক্তার জানান, বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

×