ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

কুমার নদের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনার সারি

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ৪ আগস্ট ২০২৩

কুমার নদের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনার  সারি

কুমার নদের তীরে অবৈধ স্থাপনা

চলতি বর্ষায় পদ্মা নদীর ঘোলা পানিতে ভরে উঠেছে কুমার নদ। সেইসঙ্গে নদীর দুই পাড়ে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে দখলকারীদের সারি সারি নানা অবৈধ স্থাপনা। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব স্থাপনা একেবারে নদীর কাছে চলে এসেছে। জেলা প্রশাসন দেড় মাস আগে কুমার নদ রক্ষা অভিযান শুরুর পরে অদ্যাবধি সেগুলো অপসারণ করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর দাবি, নদীর জায়গা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করতে নতুন করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বিলম্বিত হচ্ছে। আরও দেড় মাস লাগবে তালিকা তৈরিতে।

শহরবাসী দ্রুত এসব স্থাপনা অপসারণের জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। শহরের আলিমুজ্জামান সেতুর ওপর থেকে দেখা যায়, জোনাকি হোটেলের পেছনের অংশের দিক থেকে শুরু করে হাজি শরীয়তুল্লাহ বাজারের মুরগির দোকান পর্যন্ত বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা একেবারেই নদীর মধ্যে চলে এসেছে। ওপাড়ে ময়রাপট্টির অংশেও একই দশা। নদীর মাঝ বরাবর অবৈধ স্থাপনার বাঁশখুঁটি এখনো বহাল তবিয়তে। বছরের পর বছর ধরে টিকে থাকা এসব অবৈধ স্থাপনা এখন পর্যন্ত অপসারণ না হওয়ায় শহরবাসীও হতাশা প্রকাশ করেন।

গত ১৭ জুন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই নদ রক্ষা অভিযান শুরু হয়। ওইদিন কচুরিপানা অপসারণের কর্মসূচির মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। নদ দখল দূষণে লিপ্তদের চিহ্নিত করতেই কার্যক্রম শুরু বলে জানান জেলা প্রশাসক।

ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মাহফুজুল আলম মিলন বলেন, নদ রক্ষা করতে হলে নদের দূষণরোধ করে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। নদীতে পানি বাড়ায় দূষণের মাত্রা কমেছে। তবে ড্রেন নর্দমার সংযোগগুলো দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনাগুলো বহাল তবিয়তেই রয়েছে। এর আগেও অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি নদের সীমানা নির্ধারণ করে ডিমার্কেশনও করে গিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা। এখন আবার নতুন তালিকা তৈরিতে এত বিলম্ব কেন তা বুঝতে পারছি না। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, কুমার নদের অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিএস রেকর্ডে নদের অনেক জমি ব্যক্তি মালিকানায় চলে গেছে। এজন্য নদের সীমানা নির্ধারণ করে দখলদারদের হালনাগাদ তালিকা তৈরি করতে সময় লাগছে।

×