ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

স্ত্রীকে ফিরে পেতে লিগ্যাল নোটিশ 

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী 

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ৬ মে ২০২৩

স্ত্রীকে ফিরে পেতে লিগ্যাল নোটিশ 

লিগ্যাল নোটিশ 

 

পটুয়াখালীর বাউফলে  স্ত্রীকে ফিরে পেতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন স্বামী মোঃ আল-মিরাজ। তবে ওই নোটিশের কোনো জবাব দেননি স্ত্রী আনজুমান মেরী।  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মোঃ আল মিরাজের সাথে বাউফলের ধানদী গ্রামের মোঃ আলতাফ মৃধার মেয়ে আনজুমান মেরীর দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। ২০২২ সালের ১ মে তারা দুজন বিয়ে করেন।  ঢাকাতে ভাড়া বাসায় শুরু করেন সংসার। গত ৩১ জানুয়ারি আল মিরাজকে তালাক নোটিশ পাঠায় মেরী।

এদিকে স্ত্রীকে ফিরে পেতে দুই দফায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় মিরাজ। ওই লিগ্যাল নোটিশে দাবি করা হয়,‘ গত ৩০ জানুয়ারি মিরাজের অনুপস্থিতিতে তাকে না জানিয়ে মেরী তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এসময় মিরাজের বাসায় থাকা নগদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, প্রায় ৪ লাখ টাকা মূল্যের  স্বর্ণালংকার  ও ২৪ হাজার টাকা মূল্যে স্মার্ট ফোন সাথে করে নিয়ে যায় মেরী। পরে মিরাজকে এক তরফা তালাক নোটিশ পাঠায়  আনজুমান মেরী।  

এ ঘটনার পর গত ৫ ফেব্রয়ারি জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মোঃ আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়  মোঃ আল-মিরাজ।  কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো ওই লিগ্যাল নোটিশ আনজুমান মেরী গ্রহণ করে নি। গত  ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় বার মেরীর বাবার কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। তবে তারও কোনো জবাব দেয়া হয়নি।

আল মিরাজ বলেন, মেরীর সাথে আমার ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মেরী তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেন। ঢাকার ভাড়া বাসায় আমরা দুজন ভালো ভাবেই সংসার শুরু করি। কোনো কারণ ছাড়াই গত ৩০ জানুয়ারি আমাকে না জানিয়ে মেরী আমার বাসা থেকে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার নিয়ে  চলে যায়। পরে সে আমাকে তালাক নোটিশ পাঠায়।  তালাক নোটিশ পাওয়ার পরে তাকে ফিরে পেতে আমি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। আমি তাকে নিয়ে ঘর-সংসার করতে চাই।

এ বিষয়ে আনজুমান মেরীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মেরীর বাবা মোঃ আলতাফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি মিরাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘ মিরাজ প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর কোনো খোঁজ-খবর নিতেন না। যার কারণে আমার মেয়ে তাকে তালাক দিয়েছেন।’

প্রথম বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে মিরাজ বলেন,‘ প্রথম স্ত্রীর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আর  মেরী জানতো আমি প্রথম বিয়ে করেছি। সে জেনে শুনেই  আমাকে বিয়ে করেছে।’

এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের আইনজীবী বলেন,‘স্বামীর নেওয়া টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার সহ ফিরে আসার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি ফিরে না আসেন তাহলে  ১৮৬০ এর ধারা ৩৮০ এবং ৪০৬ এর অনুসারে মামলা দায়ের করতে পারবেন ভুক্তভোগী। 

টিএস

×