ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে কসাইয়ের চোরাই গরু

সংবাদদাতা,বোয়ালমারী, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৯:১০, ২৫ মার্চ ২০২৩

সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে কসাইয়ের চোরাই গরু

চোরাই গরু

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চোরাই গাভী কিনে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছেন দাদপুর ইউনিয়নের একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। রাতের আঁধারে চুরি করে আনা ওই গরুটি একজন কসাই তার নিকট বিক্রি করেছেন দাবি করলেও পুলিশের জেরার মুখে গরুর সেই বিক্রেতাকে হাজির করতে পারেননি। এ নিয়ে জট পাকাচ্ছে নানা সন্দেহ।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারীর দাদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যা গত বৃহস্পতিবার সকালে আলমগীর নামে একজন কসাইয়ের নিকট থেকে গরুটি তার বাড়িতে নিয়ে যান। শামীম মোল্যার দাবি, বাচ্চা পেটে ওই গাভীন গরুটি তিনি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা দামে কিনেছেন কসাই আলমগীরের নিকট থেকে। তবে পুরো টাকা শোধ করেননি। আপাতত ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি নিয়ে এসেছেন।

তবে স্থানীয়রা জানান, দাদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামের পাঁচু শেখের ছেলে আলমগীর শেখ গত ২১ মার্চ গভীর রাতে একটি বিদেশি জাতের উৎকৃষ্ট গাভীন গরু তার বাড়িতে নিয়ে যান। পেশায় কসাই আলমগীর শেখ গভীর রাতে ওই গাভীন গরু নিয়ে বাড়িতে ফেরায় এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। কোথা হতে কার নিকট থেকে গরুটি কিনেছে জানতে চাইলেও আলমগীর কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বলে জানান স্থানীয়রা। গরু কেনার রশিদএ দেখাতে পারেননি। এনিয়ে নানা কথা শুরু হলে আলমগীরকে ওই গরু কারো নিকট বিক্রি অথবা হস্তান্তর করতেও নিষেধ করেন তারা। কিন্তু এরই মধ্যে পরের দিন সকালে গরুটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামীম মোল্যার তার বাড়িতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। 

এ ব্যাপারে কসাই আলমগীর শেখের বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে যেয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, গরুটি শামীম মোল্যার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ঘটনার আলমগীর আত্মগোপনে রয়েছেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যার দাবি, গরুটি চোরাই কিনা সেটি তিনি জানেন না।

এদিকে, চোরাই গরু বিক্রির খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক(এএসআই) সুব্রত কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সুব্রত কুমার বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে শামীম মোল্যাকে ওই গরু যার নিকট থেকে কিনেছেন তাকে হাজির করতে বলেছি। আর ওই গরুর কোন দাবিদারও পাওয়া যায়নি। যতদিন গরুর মালিককে পাওয়া না যায়, ততদিন গরুটি শামীম মোল্যার জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
 

এমএস

×