ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাদেরের অভিযোগ

সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে বিএনপি সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করেছে

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:২২, ১৬ মার্চ ২০২৩

সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে বিএনপি সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করেছে

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা

ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন পণ্ড করতে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে বিএনপি দফায় দফায় হামলা করেছে, এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে এক নেতা ব্যালট চুরি করতে গেছেন। গত ১০ বছর ধরে এই কাজটি তারা গোপনে করেছেন। এবার তারা ধরা পড়ে গেছেন। ভোটগ্রহণ প- করতে বারবার আদালতে হামলা করেছেন। ফখরুল সাহেব, আপনারা ধরা পড়ে গেছেন।
বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 
বিএনপিকে চোরের মহারাজা আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার কারা করেছিল? ভোট চুরির অপবাদ আওয়ামী লীগকে দেবেন না। ভোট চুরির রাজা, মহারাজা হচ্ছে এই বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন খুব দূরের বিষয় নয়। চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচন আমাদের মূল বিষয়। নির্বাচন ঠেকাতে অনেকে ষড়যন্ত্র আছে। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটলে আওয়ামী লীগ দায়ী থাকবে। তার মানে বিএনপি খারাপ কিছু করতে চায়। তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটানোর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এটা ২০১৩-১৪ সাল নয়, জনগণ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। আজকে বাংলাদেশে এমন কোনো ঐক্যবদ্ধ দল নেই, নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে।
নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন আতঙ্ক থেকে বিএনপি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম এখন বলেন, আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও বলেছিল, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অথচ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিই আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  উন্নয়ন এবং তার ব্যক্তিগত সততা, পরিশ্রম বাংলাদেশের মানুষকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, আজকে বিএনপি বা বিরোধী দলের শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো সুযোগ নেই। হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা আগে থেকেই ষড়যন্ত্রের অন্ধ গলিতে হাঁটছে। ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

জনগণকে ভয় দেখাবেন না। বাংলার জনগণ ভয় পায় না। জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। যে কোনো ষড়যন্ত্র, অপকর্ম, সন্ত্রাস আমরা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আজকে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে। যে কোনো মূল্যে, যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইস্পাতকঠিন ঐক্য আমাদের রাখতে হবে হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে।

×