ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যত্রতত্র বালু ভরাট করায় হুমকির মুখে কৃষি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ 

প্রকাশিত: ২০:২০, ১২ মার্চ ২০২৩

যত্রতত্র বালু ভরাট করায় হুমকির মুখে কৃষি জমি

যত্রতত্র বালু ভরাট

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় কৃষি জমিতে যত্রতত্র বালু ভরাটের কারনে দিন দিন কৃষি জমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা পরিবার নিয়ে পড়ছে দুচিন্তায় হারাতে বসেছে মৌসুমী ফসল। এমন ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নীরব ভূমিকা। 
জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা গঠিত। 

এই উপজেলায় বার মাসে বিভিন্ন জাতের সবজি ও ধান চাষাবাদসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করেন তা বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধীক কৃষক তাদের সংসার চালায়। কৃষি চাষাবাদের উপর নির্ভর করে কৃষকের পরিবারের জীবন-যাপন। তাই এ উপজেলায় অপরিকল্পিত ভাবে শিল্পকারখানা গড়ে উঠায় প্রতিনিয়ত কৃষি জমি ভরটা হয়ে হচ্ছে। ভরাটের সাথে পাল্লা দিয়ে ভূমিদস্যুরা তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন ইট ভাটায়। এতে দিন দিন কৃষি জমি হারাচ্ছেন কৃষক। কৃষি জমি রক্ষা করতে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ নেই।

সুত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলায় বর্তমানে ১০ হাজার ২শত ৯৩ হেক্টর কৃষি জমিতে বোরো ধান আবাদ ও বিভিন্ন শাক সবজিসহ অন্যান ফসল চাষাবাদ হয়ে থাকে। এ উপজেলা নিবন্ধন অনুযায়ি ৩৪ হাজার কৃষক রয়েছে। প্রত্যেক কৃষকদের সরকারি উদ্যোগে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।  

সনমান্দীর কৃষক কুদ্দুস মিয়া জানান, আমি বাবার সাথে থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতাম। কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে সে ফসল বিক্রি করে সংসার চালাইতাম। এখন কৃষি জমির মাটি কাটায় জমিতে কোন প্রকার চাষাবাদ করতে পারছি না। বর্তমানে অটোরিকক্সা চালিয়ে সংসার চালাই।   

জামপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকার কৃষক রহিম মিয়া জানান, কয়েকটি কোম্পানি নাম মাত্র কিছু জমি কিনে কৃষকের ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে বালু ভরাট করায় ফসলি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। তাই বালু ভরাটের কারনে জমিতে এখন আর বোরো ধানসহ অন্যান কৃষি পন্য চাষ করা যায় না। সংসার চালাতে কৃষি কাজ ছেড়ে চাকুরী করছি।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিসার আফরোজা সুলতানা বলেন, কৃষি জমি ভরাটের কারনে আগের থেকে অনেকটাই কৃষি জমি কমে গেছে। কষি জমি রক্ষা করতে কৃষকদের সব সময় সহযোগীতা করে যাচ্ছি। কৃষক যাতে কৃষি কাজ ছেড়ে না দেয় বিভিন্ন ভাবে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজওয়ান উল ইসলামকে একাধীক বার ফোন করলেও রিসিভ করেনি।
 
 

এমএস

×