ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষাবাঁধ ৭৫ ভাগ কাজও হয়নি

সংবাদদাতা, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ১১ মার্চ ২০২৩

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষাবাঁধ ৭৫ ভাগ কাজও হয়নি

.

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ বাস্তবায়ন অনিশ্চিত। বেধে দেওয়া সময়সীমার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও ৭৫ ভাগ কাজও বাস্তবায়ন হয়নি। পিআইসিরা  টাকার বিনিময়ে প্রকল্প নেওয়ায় তাদের খেয়াল খুশি মতো কাজ করছে।
ধর্মপাশা উপজেলায় ১২০টি প্রকল্পের মধ্যে ১১২টি প্রকল্পের কাজ ৯৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।  ত্রুটির কারণে ৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। ওই ৮টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও হাওরের পানি নামতে বিলম্ব হওয়ায় নিচু স্থানের পিআইসিরা সময় মতো কাজ শেষ করতে না পারায় ৭ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন বাঁধের ¯েœাপে দূর্বা ঘাস লাগানো চলমান থাকলেও মধ্যনগরে ৪৮টি প্রকল্পের মধ্যে ২৩ ও ক্লোজার ও গুড়মা প্রকল্পের ২৮নম্বর পিআইসির প্রকল্পসহ ৩৮টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে কৃষক ও পিআইসি সূত্রে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) (২০২২-২৩ অর্থ বছরে অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-১, বাপাউবো, জেলাধীন চন্দ্রসোনার থাল, ধানকুনিয়া, সুনামড়ল, জয়ধনা, কালীয়ানী হাওরসহ ছোট বড় ৭টি হাওরে ফসল রক্ষাবাঁধ বাস্তবায়নে ১২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলেও পাউবোর নীতিমালা লঙ্ঘন করে, সাবেক বাঁধের উঁচু মাটি ভ্যাকো মেশিন দিয়ে আচরায়ে ওই মাটির সঙ্গে নামমাত্র বালু মিশ্রিত ভেজা মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে গুড়মা ও কাইল্যানী হাওড়ের একাধিক পিআইসি অভিযোগ করে বলেন, এ বছর আমরা বলির পাঁঠা হয়েছি। প্রতিটি প্রকল্প দেড় হতে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রকল্পের কাজ পেয়েছি।  
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রকল্প গুলো অনুমোদনের পর আমি এসেছি। আমাদের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান খুব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে আমিও মনিটরিং করে পিআইসিদের তাগিদ দিয়েছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. অলিদুজ্জামান বলেন, হাতে  গোনা দু-একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ৪/৫ দিন সময় লাগতে পারে। বাকি সবগুলো প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। পাউবো উপসহকারী প্রকৌশলী ও কাবিটা প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৭দিন সময় বাড়ানো হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্লোপে দূর্বা ঘাস লাগানো চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৬ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রতিদিন মনিটরিং করছি। সহকারী প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন বলেন, অসম্পূন্ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।
 

×