ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ভোগ ​​​​​​​

হিলি স্থলবন্দর সড়কের  নির্মাণকাজ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ২১:০৪, ৫ মার্চ ২০২৩; আপডেট: ২১:১০, ৫ মার্চ ২০২৩

হিলি স্থলবন্দর সড়কের  নির্মাণকাজ বন্ধ

চার লেন সড়ক উন্নয়নের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরুর পর হঠাৎ কাজ বন্ধ করে উধাও

হিলি স্থলবন্দরের চার লেন সড়ক উন্নয়নের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরুর পর হঠাৎ কাজ বন্ধ করে উধাও হয়ে গেছে। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষার আগেই কাজ শেষ না হলে, দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। বর্তমানে ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকসহ দূরপাল্লার যানবাহন, অটোরিক্সা ও রিক্সা।

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে পানামা বন্দরের গেট পর্যন্ত ৮০০ মিটার সড়কের চার লেনের কাজ শুরু হয় গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। পানামা পোর্টের গেট থেকে ঢালাইয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর সময় মূল রাস্তার ওপর থেকে বিটুমিন মিশ্রিত পাথর, ইট তুলে ফেলা হয়। তবে হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কার্যালয়ের তথ্যমতে, হিলি বন্দরের শূন্যরেখা থেকে পানামা পোর্ট গেট পর্যন্ত ৮০০ মিটার সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ পেয়েছে ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং’ (এনডিএ) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ সড়কের মধ্যে দুটি কালভার্ট প্রশস্তকরণ কাজও রয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। গতবছরের ৬ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে কাজটি বন্ধ রয়েছে।

রবিবার সরেজমিন দেখা গেছে, হিলি জিরোপয়েন্ট থেকে পানামা পোর্টের পুরো সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলে, একপাশ আংশিক ঢালাই করার পর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকসহ দূরপাল্লার যানবাহন, অটোরিক্সা ও রিক্সা। ভারতীয় ট্রাকচালক রাখাল চন্দ্র বলেন, ‘আমি মাঝে-মধ্যে ভারত থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে আসি। হিলি জিরো পয়েন্ট থেকে পানামা বন্দরের গেট পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। কার্পেটিং না থাকায় ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এ কারণে অনেক সময় ট্রাক একদিকে হেলে যায়। উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’

কাজ শুরুর পর হঠাৎ বন্ধ কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (এনডিই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোপাল চন্দ্র বলেন, ‘আর্থিক সংকটের পাশাপাশি সড়কের দু’পাশের কিছু জমি অধিগ্রহণে সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান হলেই সড়কের কাজ আবার শুরু করা হবে।’ হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর পর হঠাৎ বন্ধ করে দিয়ে উধাও হয়েছে। তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী বর্ষার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে, ভারতীয় পণ্যবোঝায় ট্রাকের জন্য সমস্যা হবে।’ এ বিষয়ে দিনাজপুর সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনফ সরকার বলেন, আশা করছি খুব শীঘ্রই আবার সড়কের কাজ শুরু হবে।

×