ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেতু ভেঙেছে ৬ বছর, নেই সংস্কারের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সেতু ভেঙেছে ৬ বছর, নেই সংস্কারের উদ্যোগ

খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের ভুল্লির বাজারের ভুল্লির নদীর ওপর সেতুটির দুই পাশের রাস্তা ভেঙে পড়ে আছে

ছয় বছর ধরে একটি সেতু ভেঙে পড়ে থাকার পরও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। যার কারণে দুটি উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ হেঁটে ও ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।
জানা যায়, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের ভুল্লির বাজারের ভুল্লির নদীর ওপর সেতুটির দুই পাশের রাস্তা ভেঙে যায় ২০১৭ সালে। এরপর ঝুলন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। এতে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় খানসামার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নবাসীর।

সেই থেকে প্রতিবছর ইউনিয়নের লোকজন ভাঙা সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করে আসছেন। প্রায় এক বছর আগে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে মোটরসাইকেলসহ পারাপারের সময় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যান একজন। নদীর ওপর ১শ’ ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি মূলত নীলফামারী সদর ও খানসামা উপজেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের চলাচলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বন্যায় ছয় বছর আগে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর চলাচলের জন্য স্থানীয়রা চাঁদা তুলে নির্মাণ করে এ বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ছোট্ট সাঁকোটি দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ফসল পরিবহন করতে সমস্যা হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বিরিজ ভেঙে যাওয়ায় হামার অনেক অসুবিধা হইসে। এইঠে মেলা অ্যাক্সিডেন্ট হইছে। অনেকে আহত হইছে। হামার এই সেতুটা খুব প্রয়োজন।

সরকারের কাছে আবেদন করি তাড়াতাড়ি বিরিজটা যেন করে দেন।’ স্থানীয় মফিজ আলী নামে একজন বলেন, ‘এ সাঁকো থেকে প্রায়ই মানুষ ও গবাদিপশু পড়ে যায়। অনেক সময় রাতে চলাচল করতে গিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। গ্রামের মানুষের জন্য সেতুটি মেরামত করা খুবই দরকার।’

এ বিষয়ে আলোকঝাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটি ভেঙে গেছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সর্বসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হলেও প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। নতুন সেতুর জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে কাগজপত্র পাঠিয়েছেন। আশা করা যায় আগামী অর্থবছর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

×