ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ দিনে ৩০ গরু চুরি

ভোলায় গরু চুরির আতঙ্কে কৃষক ঘুমায় গোয়াল ঘরে

সংবাদদাতা,দৌলতখান,ভোলা

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভোলায় গরু চুরির আতঙ্কে কৃষক ঘুমায় গোয়াল ঘরে

স্থানীয়দের শালিশ বৈঠক

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গত ১৫ দিনে কৃষকের ৩০ গরু চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চোরচক্রের কাছ থেকে গরু রক্ষা করতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না তারা। 

প্রতিনিয়ত গরু চুরি হওয়ায় কৃষকরা রাত কাটাচ্ছেন গোয়াল ঘরে, রয়েছেন চরম আতঙ্কের মধ্যে।

উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কৃষক হারুন জানান, গত বুধবার বিয়ের দাওয়াতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা বেড়াতে যান তিনি। এ সময় বাড়িতে রেখে যাওয়া লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা চুরির ঘটনা জানালে বাড়িতে এসে গরু খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। 
গত রবিবার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জনৈক ফরিদা নামে এক গৃহবধূর বাড়ির পাশের বাগান থেকে গরুটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

ফরিদা জানান, গত শনিবার রাত আটটায় উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বশিরের ছেলে কামালের নাম গোপন রেখে সালাউদ্দিন পরিচয় দিয়ে তার কাছে গরুটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। তার স্বামী রফিকুল ইসলাম বাড়িতে না থাকায় গরুটি কিনতে রাজি হননি তিনি। এ ঘটনায়  সোমবার সকালে উপজেলার সেরু-মাষ্টার বাজার এলাকায় গ্রাম্য শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত কামালের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫০ বেত ধার্য করা হয়। শালিশ বৈঠকে একটি গরু চুরির বিচার হলেও বাকি চুরি হওয়া গরুর বিচার না পেয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন গরুর মালিক মসু মেম্বার,মিলন পাঠোয়ারী,মো: সালেম,জাহাঙ্গীর সহ অন্যন্যারা।

তবে স্থানীয়রা শালিশ বৈঠকের কার্যক্রম যথাযথভাবে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, চোরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে বাকি চুরি হওয়া গরুর ঘটনা উদঘাটন হত। শালিশ বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, হারুনের গরুটি যথাযথ প্রমাণ পাওয়ায় অভিযুক্ত কামালকে দোষীসাবস্থ করে এ শালিশ বৈঠক সম্পন্ন করা হয়েছে।

 

এমএম

×