ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ: দগ্ধ সুখী আক্তারের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ: দগ্ধ সুখী আক্তারের মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় সুখী  আক্তার (২৫) চিকিৎসাধীন মারা গেছে। 

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।

সুখী আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি জানান, সুখী  আক্তার শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

এই ঘটনায় সুখীর স্বামী আলামিন (৩০) ৯৫ শতাংশ ও রাজমিস্ত্রীর সহযোগী রফিক মিয়া (৪৫) ১২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। বাকি দুজনকে গতকাল রবিবার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লা লামারবাগ মেট্রো গার্মেন্টস সংলগ্ন একটি দোতলা বাড়ির নিচে তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে দগ্ধ হন, গার্মেন্টস কর্মী আলআমিন হোসেন (৩০), তার স্ত্রী সুখি আক্তার (২৫), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগম (৬০) ও তার ছেলে জামাল হোসেন (৪০) এবং রাজমিস্ত্রীর সহযোগী রফিক মিয়া (৪৫)।

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আল-আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, সুখী মেট্রো গার্মেন্টসে চাকরি করতো। আর তার স্বামী আলআমিন ‘মোতালেব মনোয়ারা গার্মেন্টসে’ চাকরি করেন। ওই বাড়ির নিচ তলার একটি রুমে ভাড়া থাকেন তারা। দুজন দুপুরে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে খাবার গরম করার জন্য রান্না করে যান। সেখানে দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাদের দুজনের সমস্ত শরীর পুড়ে যায়। এবং পাশের রুমে থাকা আলেয়া বেগম, তার ছেলে এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করা রফিক মিয়া সামান্য দগ্ধ হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধ আলেয়া বেগম জানান, রান্নাঘরটিতে বেশ কয়েকদিন ধরে গ্যাস লিকেজের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। এজন্য চুলাতে গ্যাস বের হতো না। লিকেজ হওয়া গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তার ধারণা।

আল-আমিনের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আলিয়াপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. শহিদ। আলআমিন ও সুখির একমাত্র ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকে।

এমএইচ

×