ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় কলেজের ৬০ বছর পূর্তিতে মিলনমেলা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস

প্রকাশিত: ০১:১৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বগুড়ায় কলেজের ৬০ বছর পূর্তিতে মিলনমেলা

সরকারি মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে

বগুড়া সরকারি মুজিবর রহমান মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার পর শনিবার দিনভর এই প্রথম প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৬০ বছর পূর্তির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতিচারণে মুখরিত হয় কলেজ চত্বর। বেজে ওঠে রবীন্দ্রনাথের সুর ‘পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায় ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়। আয় আরেকটিবার আয়রে সখা প্রাণের মাঝে আয় মোরা সুখের দুখের কথা কব প্রাণ জুড়াবে তায়।’ এমনই সুরে প্রাণ জুড়িয়ে যায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের।

কলেজের অধ্যক্ষ জোওরা ওয়াহিদা রহমান বলেন ষাট বছর পর এমন আয়োজনে তিনি আপ্লুত। তিনি আয়োজক কমিটির প্রধান। ১৯৬৩ সালে বগুড়ার শিল্পপতি ধনাঢ্য ব্যক্তি মুজিবর রহমান শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভূমি এবং অর্থ দিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। সকালে স্মৃতিচারণের পালা শুরু করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজ সংসদের সাবেক সভাপতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীমা বেগম পলিন।

এরপর বিভিন্ন সফলতায় কলেজ অ্যাওয়ার্ড এবং বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তিতে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফরিন আরা। অনুষ্ঠানের একটি পর্বের সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ত্বাইফ আল মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদার মান্নান। 

সান্তাহারে স্কুলের শতবর্ষ উৎসব 
নিজস্ব সংবাদদাতা সান্তাহার, বগুড়া থেকে জানান, ‘শতবর্ষে শতপ্রাণ বাজুক মনে ঐক্যতান’ সেøাগানে শনিবার বগুড়ার সান্তাহার কলসা আহসানউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপন করা হয়েছে। এদিন বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছিল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শনিবার সকাল ৮টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাবেক গভর্নর ও সংসদ সদস্য বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা কছিম উদ্দীন আহমেদ।

১০টায় শোভাযাত্রা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে সান্তাহার শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য এমরান তাজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান। প্রধান আলোচক ছিলেন বিদ্যালয়ের ছাত্র বগুড়া জেলা জজ কোর্টের পিপি ও জেলা বারের সভাপতি আব্দুল মতিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার, সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র ও এন এস আইয়ের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক শেখ গোলাম মোক্তাদির মুক্তা, রাজউকের সাবেক নির্বাহী প্রকোশলী সাইদুর রহমান মন্টু, বিশ্বব্যাংকের সাবেক পরামর্শক শেখ গোলাম কাদের প্রমুখ। 

যশোরে কলেজের রজতজয়ন্তী
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস থেকে জানান, যশোরে ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। শনিবার কলেজ ক্যাম্পাসে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি ডা. মালিহা মান্নান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

বক্তব্য রাখেন রজতজয়ন্তী উৎসব উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক ও কলেজের অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল হোসেন ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ। সকালে ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

চাঁদপুরে কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি 
নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর থেকে জানান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে উৎসবে আমন্ত্রিত। কারণ আমি এই কলেজের ছাত্রী না। এখানে একটি অন্য ভালোবাসার টান আছে। কারণ নিজের চাইতেও মায়ের জিনিস অনেক প্রিয় হয়। আমার ‘মা’ চাঁদপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। সে সূত্রে নিশ্চয়ই এই কলেজের ৭৫তম বছর পূর্তির সঙ্গে আমার নাড়ির টান এবং যোগাযোগ আছে। শনিবার দুপুরে ‘ঐতিহ্যের উৎকর্ষে উল্লাসের ৭৫ বছর’ স্লোগানে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ‘চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চাঁদপুর পৌর মেয়র ও উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাব্বির আজমের যৌথ সঞ্চালনায় সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবেদ মনসুর, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সিনিয়র সচিব ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজ বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহা প্রমুখ।

×