ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

শরীয়তপুরে অফিসে ছাদ বাগান করেছেন কর্মকর্তা 

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর 

প্রকাশিত: ১৪:১১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৪:৩২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শরীয়তপুরে অফিসে ছাদ বাগান করেছেন কর্মকর্তা 

ছাদ বাগান

শরীয়তপুরে অফিসে ছাদ বাগান করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন শরীয়তপুরে কর্মরত দুই কর্মকর্তা। একজন শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন এবং অন্যজন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। 

প্রতিদিন শত শত লোক তাদের এই ছাদ বাগান দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। ফুল ও ফলের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শণার্থীরা।

শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চত্বর যেনো পুরো ফল আর ফুলের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতোদিন যেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ছিল, সেখানে এখন শোভা পাচ্ছে নানা রংয়ের ফুল আর ফলের সমারোহ।  প্রতিদিন শত শত লোক জেলা পরিষদ ঘুরে নানা জাতের ফল আর ফুলের সুভাশে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। 

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ফুলে-ফলে সজ্জিত হয়ে পুরনো রূপ পাল্টিয়ে শরীয়তপুর জেলা পরিষদ একেবারেই আধুনিক রূপ ধারণ করেছে। 

জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলা সদরের আটং, কানার বাজার, আটি পাড়া, বিলাসখানসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার দুই পাশে এ পযর্ন্ত প্রায় ৫০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা পরিষদ চত্বর ও অফিসের ছাদে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের বাগান। 

শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ছাদে ফল বাগান করে সুনাম কুড়িয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। জেলা শহরের ধানুকায় অবস্থিত জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূল ফটক থেকেই চোখ জুড়াবে সবুজের সমারোহ। 

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ৫০ ধরনের ফুল ও ফলের সহস্রাধিক গাছ সংগ্রহ করেছেন তিনি। মাল্টা, সফেদা, কমলা, আঙুর, বাতাবি লেবু, কাগজী, পেয়ারা, আম, কাঠাল, ডালিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ চোখে পড়েছে। প্রকৌশলী আহসান হাবীবের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে আমের মুকুল এসেছে। 

একাধিক গাছে কমলা, পেয়ারা ও মাল্টা ফল ধরেছে। ফলন এসেছে সফেদা গাছেও। সবুজে ছেয়ে গেছে পুরো পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বর। বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকট থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার পাশাপাশি প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ছাদ।

প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আমাদের কলোনিতে প্রায় ৩ একর জমি রয়েছে। আমাদের সবগুলো ভবন নতুন। অন্য ডিভিশনের চাইতে এখানে কম জায়গা রয়েছে। আমাদের বিল্ডিংয়ের মাঝে মাঝে যেই জায়গাগুলো রয়েছে তাতে এ বছর ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ করেছি, আমরা এখানে ফলের গাছ লাগিয়েছি এবং প্রতেকটা বিল্ডিংয়ের ছাদে-ছাদ বাগান করেছি। বাগানে আমি নিজেসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এসব ফুল-ফলের রক্ষণাবেক্ষণে পরিচর্যা করে। 

এসআর

×