ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাল্লায় নদী সেচে চলছে মৎস্য আহরণ

সংবাদদাতা, শাল্লা, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শাল্লায় নদী সেচে চলছে মৎস্য আহরণ

নদীর মাঝখানে বাঁধ দিয়ে পানি সেচে এভাবেই মাছ ধরা হয়

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় দাড়াইন নদী শুকিয়ে চলছে মৎস্য আহরণ। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নদী শুকানোর মহোৎসবে মেতে উঠেছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী দাড়াইন। দিরাই থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পর্যন্ত এই নদী দিয়ে নৌ চলাচল করে। এমনকি ব্যবসায়ীদের মালামালও এই নদী দিয়ে ভৈরব থেকে শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় আনতে হয়। কিন্তু নদীর নাব্য সংকট থাকায় নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা দাড়াইন নদী দখল করেছে। এমনকি এই প্রভাবশালী চক্রটি নদীর দুদিকে বাঁধ দিয়ে দেদারসে মৎস্য আহরণ করে চলছে। 
সরজমিনে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের মৌরাপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হরিপদ দাস, দীপচরণ দাস ও ঝিনু দাসের নেতৃত্বে দাড়াইন নদী শুকিয়ে মৎস্য আহরণ চলছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ওদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। প্রায় আধ কিলোমিটার নদী দখল করে নদীর মধ্যে দিয়ে দুদিকে বাঁধ নির্মাণ করে শুকিয়ে ফেলা হয়েছে। 
নদী শুকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে দীপচরণ দাস ও হরিপদ দাস জানান, এই জায়গা তাদের আওতায় রয়েছে। এমনকি গ্রামের সকলের অনুমতি নিয়ে নদী শুকিয়ে মাছ আহরণ করছে বলে তিনি জানান। 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মৌরাপুর গ্রামের একজন জানান, হরিপদ দাস ও দীপচরণ দাস নদী দখলদার। তাদের নেতৃত্বে প্রতিবছর নদীর এই জায়গা শুকানো হয়। আর প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
শাল্লা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ জামান খান মুঠোফোনে জানান, আমি সুনামগঞ্জ রয়েছি। এই বিষয়ে ইউএনও স্যারকে অবগত করেন। নদীর শুকানোর কোনো নিয়ম আছি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদীর শুকানোর কোনো নিয়ম নেই। তবে আমি শাল্লায় এসে ওদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব মুঠোফোনে জানান, আমি জেলার মিটিংয়ে আছি।

×