ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ান্নর ভাষা শহীদ

১৪ বছরেও মেলেনি ‘জব্বার নগরের’ স্বীকৃতি 

শেখ আব্দুল আওয়াল, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ২১:২৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

১৪ বছরেও মেলেনি ‘জব্বার নগরের’ স্বীকৃতি 

ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহীদ আব্দুল জব্বারের নামে নামকরণকৃত উপজেলার পাঁচুয়া (জব্বার নগর) গ্রামের নতুন নামের স্বীকৃতি মেলেনি ১৪ বছরেও। নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বাংলা ভাষার চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্মিত হয় ‘ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’। ২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের বাড়ির আঙ্গিনায় এটি উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া উদ্বোধনের সময় পাঁচুয়া গ্রামটি ‘জব্বার নগর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ঘোষণার এক যুগের বেশি সময় পার হলেও স্বীকৃতি মেলেনি জব্বার নগরের।

এদিকে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটিও সারাবছর থাকে দর্শকশূন্য। ৪ হাজার ১৩০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করা গ্রন্থাগারে তেরো বছরেও আর কোনো বই যোগ হয়নি। এই জাদুঘরে নেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ও রোজনামচা বইটি। জাদুঘরেও নেই ভাষা শহীদের কোনো স্মৃতি চিহ্নহ্ন। নানা অব্যবস্থাপনায় দর্শনার্থী ও পাঠকদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না এটি। এখানে নেই ইন্টারনেট সেবা। বছরের বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা পড়ে থাকে গ্রন্থাগারটি। তবে ২১ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে চলে প্রশাসনের দৌড়ঝাঁপ। দেখা মেলে দর্শনার্থী ও সাংবাদিকদের।
স্থানীয় তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে যদি শহীদের নামে বিশ^বিদ্যালয় বা কলেজ করা হয়, তাহলে জব্বার নগর পরিপূর্ণতা পাবে। গ্রন্থাগারিক মো. কায়সারুজ্জামান বলেন, জাদুঘরে ভাষা শহীদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং বইয়ের সংখ্যা বাড়ানো গেলে পাঠক-দর্শনার্থীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া লাইব্রেরিতে শহীদ জব্বারের স্মৃতির কোনো কিছুই নেই। ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের নাতি লুৎফুর নাহার সুভা বলেন, ভাষা শহীদের নামে কলেজ কিংবা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় করা হলে গ্রন্থ’াগারটির প্রাণ সঞ্চার হবে। ভাষা শহীদ আব্দুুল জব্বারের স্মৃতিগাথা নিদর্শনগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ এবং গ্রন্থাগারে তথ্য-প্রযুক্তি সুবিধা করার দাবি স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে রাওনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম বলেন, নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আমরা এখনো কোনো গেজেট পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শহীদ আব্দুুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি যেন আরও পরিপূর্ণতা পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনোয়ার হোসেনকে প্রথম ভাষাসৈনিকের স্বীকৃতি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে জানান, ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইশতেহার পাঠ করার পর গ্রেপ্তার হওয়া এবং ১৯৫০ সালে রাজশাহী কারাগারের খাপড়া  ওয়ার্ডে  পুলিশের গুলিতে নিহত ভাষা শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষাসৈনিকের স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে রবিবার বেলা ১১টায় আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজার সংলগ্ন আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক সচ্চিদানন্দ দে সদয়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক  কল্যাণ ব্যানাজি  অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, ইউপি চেয়ারম্যান  মাহাবুবুল হক ডাবলু, ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকি পলাশ, আহসান হাবীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর, আব্দুল গফফার, শফিফুল ইসলাম, রফিক আহমেদ, রঘুনাথ খাঁ প্রমুখ।
 

×