ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিপর্যস্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় বিপাকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরবাসী 

সংবাদদাতা, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ০০:৪১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

বিপর্যস্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় বিপাকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরবাসী 

পৌরসভার ড্রেনে ময়লার স্তূপ

ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে অকার্যকর অধিকাংশ ড্রেন।
পৌরবাসীর অসচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ড্রেনগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে। এমনকি টয়লেটের আউটলাইন পর্যন্ত দেয়া রয়েছে ড্রেনের সঙ্গে। ফলে ড্রেনে আটকে থাকা আবর্জনা পচে বাড়ছে মশার উপদ্রব, দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ১৯৯৭ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা ২০০৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। যার আয়তন ১২ দশমিক ৪১ বর্গকিলোমিটার ও জনসংখ্যা ২৮,৬৩১ (বিবিএস-২০১১)।

ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান এ পৌরসভার মোট ড্রেনের  দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে ইট দিয়ে তৈরি পাকা ড্রেন ৩.৫ কিলোমিটার এবং কংক্রিট দিয়ে তৈরি পাকা ড্রেন ১০.৫ কিলোমিটার। 
সরেজমিনে দেখা যায়, দত্তপাড়া রেললাইনের পাশের ড্রেনটির মুখ প্রায় বন্ধ হয়ে আছে পলিথিন, কাগজ, প্লাস্টিক ইত্যাদি সামগ্রী দিলে। অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জ চৌকি আদালতের সামনের ড্রেনটির মুখও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে একই কারণে। সাবেক মেয়রের বাসার পাশ দিয়ে পাটবাজার ও ছাগল মহালের মধ্য দিয়ে কাঁচামাটিয়া নদীতে পতিত হওয়া ড্রেনটির অবস্থা সবচেয়ে নাজুক।
অন্যদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পাশ দিয়ে কাঁচামাটিয়া নদীতে পতিত হওয়া নবনির্মিত ড্রেনটির মুখে দেওয়া রয়েছে বাঁধ। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে ফুলেফেঁপে আছে ড্রেনটি। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে মশার লার্ভা। এগুলো ছাড়াও বেশ কিছু ড্রেনে দেখা গেছে এমন বেহাল দৃশ্য। স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন আলম জানান, মাঝে মধ্যে পরিষ্কার করলেও নিয়মিত পরিচর্যা না থাকায় ড্রেনগুলোর আজ এই অবস্থা।
মুদিদোকানি রতন মিয়া বলেন, দোকানের সামনের ড্রেনটি তৈরি হওয়ার পর থেকে পরিষ্কার করতে দেখিনি। ময়লা-আবর্জনা আটকে বাড়ছে দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব। ঈশ্বরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস ছাত্তার জনকণ্ঠকে জানান, আগের তৈরি হওয়া ঢাকনা ছাড়া ড্রেনগুলোতেই এ সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে। বারবার উদ্যোগ নিয়েও কিছু অসচেতন মহলের ড্রেনে ময়লা ফেলার অভ্যাস পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি প্রশাসনেরও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। পৌর কাউন্সিলর, স্থানীয় প্রশাসন, স্কুলশিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেব।

×