ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলায় ২ চেয়ারম্যানের আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল 

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ৪ জানুয়ারি ২০২৩

ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলায় ২ চেয়ারম্যানের আত্মসমর্পণ

ধর্ষণ

ধর্ষণ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেছেন দুই চেয়ারম্যান। পরে তাদের জামিন দেন আদালত। বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

চেয়ারম্যান দুইজন হলেন- ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মনির ও  একই উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠু সিকদার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করা হলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন একই উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের এক তরুণী। মামলার বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রথমে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানা ও পরে বরিশাল পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পিবিআই’র তদন্ত রিপোর্টের উপর নির্ভর করে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে বাদী আবার উচ্চ আদালতে আপিল করেলে উচ্চ আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্ত ও আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

মামলার বাদী জানান, এমদাদুল হক মনির চাকরির প্রভোলন দেখিয়ে তাকে বরিশাল শহরের তার বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসায় এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত বরিশাল নগরী এবং কাঠালিয়ার বিভিন্ন বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হলে এমদাদুল হক মনির কিছু কাগজপত্রে ওই তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে বলেন, তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তবে ওই কাগজপত্র তাকে দেওয়া হয়নি। 

মামলার বাদী আরও জানান, ২০১৯ সালে মনির উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তার কাছে বিয়ের কাগজপত্র দাবি করলে মনির নানা টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট ওই তরুণী উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার বন্ধু ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মনির বলেন, মামলার বাদী ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক দূরের কথা আমি তাকে চিনিইনা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজনে ওই তরুণীকে দিয়ে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। যা থানা পুলিশ ও পিবিআইর তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করেছেন। তারপরেও ওই মহলের কু-পরামর্শে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে। তাই আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছি।

 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×