ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাল্লার হাওড়ে পানি সংকটে ফসলি জমি

সংবাদদাতা, শাল্লা, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ০১:৫৬, ৪ জানুয়ারি ২০২৩

শাল্লার হাওড়ে পানি সংকটে ফসলি জমি

সুনামগঞ্জের সাল্লায় জলমহাল শুকিয়ে যাওয়ায় মরে যাচ্ছে ধান     

শাল্লায় জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণের হিড়িক পড়েছে। সরকারি নীতিমালার কোনো তোয়াক্কা না করে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবে ইজারাকৃত জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরছেন ইজারাদাররা। ফলে বর্তমানে শাল্লার সবচেয়ে বড় হাওড় ছায়ার হাওড়ে পানির অভাবে হাজার হাজার হেক্টর বোরো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এ হাওড়ে এবার বোরো আবাদ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক। তারা অভিযোগ করে বলেন, জলমহাল ইজারাদাররা তাদের স্বার্থে হাওর রক্ষাবাঁধ কেটে পানি ছেড়ে দিয়েছেন। এতে করে বোরো চাষের জমি পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। শুধু ছায়ার হাওড় নয়, উপজেলার ছোট-বড় সকল হাওড়ে একই অবস্থা। এতে বোরো চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে হাওড়ের কৃষকের মাঝে। তাই বোরো ধানের জমি বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। 
শাল্লা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছায়ার হাওড়ে  ৪ হাজার ৬শ’ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি রয়েছে। এই হাওড়ের জলমহালগুলো শুকিয়ে মাছ আহরণ করে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি হুমকির মুখে ফেলেছে।
সহদেবপাশা গ্রামের কৃষক লুৎফুর রহমান জানান, এখন পৌষ মাস। এই মাসে হাওড়ে চারা রোপণের কাজ ধুমধামে চলছে। আর এসব ফসলি জমিতে পানি দেওয়ার একমাত্র বিল হচ্ছে চিলারডুবি। আর এই বিলটি অসময়ে শুকিয়ে ফেলায় আমরা কৃষকরা পানির মহাসংকটে পড়েছি। তাই প্রশাসনের কাছে দাবি ছায়ার হাওড়ের কৃষকদের ফসলি জমি রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তবে ইজারাদার আহাদ নূরের ছেলে এই জলমহালের দায়িত্বে থাকা নাসির উদ্দিন  জানান, কৃষকদের সুবিধার্থেই এই জলমহাল শুকানো হয়েছে। আবার নীতিমালায় জলমহাল শুকানোর কথা উল্লেখ রয়েছে বলে তিনি জানান 
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ জামান খান বলেন, সরকারি নীতিমালায় জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করা আইনের পরিপন্থি। কেউ যদি এমন কাজ করেন, তা হলে ব্যক্তিস্বার্থে করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

×