
জেলা সদরের মধুপুরে পিন্ড দান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভিক্ষুরা
বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে হিংসা, হানাহানি বন্ধ ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সুদৃঢ করার লক্ষ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিয়ে খাগড়াছড়িতে পিন্ড দান অন্ষ্ঠুানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে যোগ দেয় দেড় হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষু। আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মধুপুরে এ পিন্ডৈ দান অনুষ্ঠানে হাজার হাজার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী যোগ দেয়। সকালে ধর্মীয় সংগীতের মাধামে মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এক সঙ্গে হাজারের অধিক ভিক্ষু সংঘকে পিন্ড দান এটিই বাংলাদেশে প্রথম।
অনুষ্ঠানে সমবেত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ নর-নারী পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরু দান, হাজার প্রদীপ দান ও প্রাণী দান করে। এ সময় সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্মীয় দেশনা দেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। পরে ১ হাজার ৫ শ’ বৌদ্ধ ভিক্ষুকে পিন্ড দান করা হয়। পুণ্যলাভের উদ্দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এতে যোগ দেয়। অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলার নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমাসহ হাজারো পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ধীমান খীসা জানান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে এ রকম আয়োজন প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হলেও আমাদের দেশে ইতোপূর্বে এ রকম অনুষ্ঠান এই প্রথম।
বৌদ্ধ পুণ্যার্থী রনিক চাকমা, প্রীতি চাকমা জানান, এ রকম অনুষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম। এক সঙ্গে ১৫শ’ ভিক্ষুকে পিন্ড দান অতীব পবিত্র অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে এসে নিজেকে খুব পুণ্যবতী মনে হচ্ছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য চম্পানন চাকমা জানান, আমরা ১৫শ‘ ভিক্ষুকে আমন্ত্রণ করেছি। তাদের আমরা পিন্ড দান করেছি। বাংলাদেশে এক সঙ্গে এত ভিক্ষুকে কখনো পিন্ড দান করা হয়নি।
পিন্ড দানে অংশ নেওয়া বৌদ্ধভিক্ষু রক্ষিত ভান্তে জানান, পি- দান খুবই পুণ্যের কাজ। পিন্ড দানের মাধ্যমে বৌদ্ধ পুণ্যার্থীরা পঞ্চধর্ম লাভ করে।